বেগমগঞ্জে ভেঙ্গে পড়া ব্রিজ দিয়ে চলাচল ঝুঁকিপূর্ন
এম জি বাবর (নোয়াখালী) প্রতিনিধি :
নোয়াখালীর বেগমগঞ্জের মোহাম্মদপুর ব্রিজটি ভেঙ্গে পড়া ও পিলারে ফাটল ধরায় যানবাহন ও জনচলাচলের অযোগ্য হওয়ার ফলে মানুষ দারুন দুর্ভোগে পড়েছে। এতে বড় ধরনের দুর্ঘটনায় প্রানহানির আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।
ভুক্তভোগী এলাকাবাসী জানান, চন্দ্রগঞ্জ পূর্ব বাজার- গোবিন্দেরখিল সংযোগ সড়কে ওয়াপদা খালের উপর মোহাম্মদপুর ব্রিজ দিয়ে প্রতিদিন হাজার হাজার মানুষের পাশাপাশি ছোট বড় শত শত যানবাহন চলাচল করে আসছিল। এই ব্রিজ দিয়ে চন্দ্রগঞ্জ পূর্ব বাজারে অবস্থিত চন্দ্রগঞ্জ কামিল মাদ্রাসা, চন্দ্রগঞ্জ উচ্চ বিদ্যালয়, চন্দ্রগঞ্জ সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়, ন্যাশনাল হসপিটাল সহ বহু গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা আসা যাওয়া করে থাকে। বর্তমানে ব্রিজটির মাঝখানে ভেঙ্গে যাওয়ায় ও পিলারে ফাটল ধরায় যানবাহনের পাশাপাশি মানুষ চলাচলে ঝুঁকিপূর্ন হয়ে পড়েছে। যেকোন সময় বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। এই ব্রিজ দিয়ে প্রতিদিন মোহাম্মদপুর, গোবিন্দেরখিল, কোয়ারিয়া, আবিরপাড়া এমনকি চাটখিল পর্যন্ত যানবাহন চলাচল করতো। কিন্তু ব্রিজ ভেঙ্গে পড়া ও পিলারে ফাটল ধরায় অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ন হওয়ার কারনে যে কোন সময় বড় ধরনের দুর্ঘটনায় প্রানহানি ঘটতে পারে।
সাবেক স্থানীয় মেম্বার আক্কাছ মিয়া জানান, ১৯৯৮ সালে ভয়াবহ বন্যায় বাঁশের ব্রিজটি খালের পানির স্্েরাতে ভেসে যাওয়ায় জনপ্রতিনিধি হিসেবে দায়িত্ব থাকাকালে কর্তৃপক্ষের সহযোগীতায় ব্রিজটি নির্মান করার পর যানবাহন ও জনচলাচল স্বাভাবিক হয়। এর পর থেকে ব্রিজটি আস্তে আস্তে ক্ষতিগ্রস্থ হতে থাকলেও কেউ কোন প্রকার মাথা ঘামায়নি। ফলে আজ বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটেছে।
বিশিষ্ট সমাজসেবক ও সাংবাদিক বজলুর রহমান মিন্টু বলেন, স্থানীয় সরকার ও প্রকৌশল বিভাগের আওতাধীন মোহাম্মদপুর ব্রিজটি ভেঙ্গে পড়া ও পিলারে ফাটল ধরার পর থেকেই প্রানহানির আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। যে কোন সময় বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটে যেতে পারে। অনতিবিলম্বে ব্রিজটি পুনঃ নির্মান না করলে এলাকাবাসী ও যানবাহন চলতে পারবে না। এতে আরো দুভোর্গের সীমা থাকবে না।
এব্যাপারে বেগমগঞ্জ উপজেলা প্রকৌশলী মোঃ আবুল খায়ের বলেন, ব্রিজটি ভেঙ্গে পড়া ও ফাটল ধরায় প্রকল্প হাতে ধরা হয়েছে। বর্তমানে কোন প্রকার বরাদ্দ না থাকায় উক্ত প্রকল্প সহ কোন কাজের অগ্রগতিতে যাওয়া যাচ্ছে না। বরাদ্দ পাওয়া গেলে অগ্রধিকার ভিত্তিতে ব্রিজটির কাজ হাতে নেওয়া হবে। বরাদ্দ না আসলে কাজ করা যাবে না
















