ভূমিকাঃ আরবী ১২ মাসের মধ্যে রজব মাস হচ্ছে সপ্তম মাস। যে মাসটির আগমন ঘটে পবিত্র মাহে
রমজানের সওগাত নিয়ে। আশহুরে হুরুম ৪টি সম্মানিত মাসের মধ্যে রজব মাস অন্যতম। এ মাসে
ইবাদতের প্রতি যত্মমান হয়ে গুণাহ থেকে বিরত থাকা প্রত্যেক মুমিনের কর্তব্য। রজব মাসের বরকত ও
ফজিলত অর্জন করতে হলে অন্যান্য মাসের তুলনায় আরো অনেক বেশি নেক আমল করতে হবে। আদায়
করতে হবে বিভিনড়ব নফল ইবাদত। যদিও এ মাসের জন্য আলাদা কোন নামাজ বা ইবাদত নির্ধারিত নেই।
রজব মাসের মাহাত্বঃ
(১) রজম মাস আল্লাহর মাস হিসাবে পরিচিত। মহানবী (সঃ) এরশাদ করেছেন- “রজব আল্লাহর মাস, শাবান আমার মাস এবং রমজান আমার উম্মতের মাস”।
(২) এ মাসের ২৭ তারিখে ইসলামের ইতিহাসের সবচেয়ে অলৌকিক ঘটনা পবিত্র মিরাজ সংঘটিত
হয়েছে। যার মাধ্যমে মুসলমানদের উপর পাঁচ ওয়াক্ত সালাত ফরজ করা হয়েছে।
(৩) ইসলামের ইতিহাসের প্র ম হিজরত (হাবশায়) সংঘটিত হয়েছে এ মাসে।
(৪) তাবুক যুদ্ধ যদিও রজব মাসে সংঘটিত হয়নি কিন্তু এ মাসে এ যুদ্ধের প্রস্তুতি গ্রহণ করা হয়েছিলো।
(৫) মুসলমানদের পবিত্র কিবলা এবং ইবাদতের অন্যতম প্রধান স্থান “কাবা” ঘর পূণঃ নির্মাণ করা হয় এ মাসে।
(৬) এ মাসে ইসলামের ইতিহাসের অসংখ্য চুক্তি সম্পাদিত হয়েছিল। যে সকল চুক্তির ফলে পবিত্র ইসলাম ও মুসলিম উম্মাহর ঐক্য- সংহতির ক্ষেত্রে অপরিসীম ভূমিকা পালন করেছে।
রজব মাসের ইবাদত ও আমলঃ রজব মাসে নির্ধারিত কোন ইবাদত বা আমলের বাধ্যবাধকতা না থাকলেও
হাদিস শরীফে এ মাসের বিভিনড়ব ফজিলত পূর্ণ হাদিসের মাধ্যমে বিভিনড়ব ইবাদতের প্রতি উম্মতকে অনুপ্রাণীত করা হয়েছে। নফল রোজা, নফল নামাজ, তাওবা- ইস্তেগফার বেশি বেশি করে আদায় করার জন্য নবীজি অনুপ্রাণীত করেছেন।
দোয়াঃ মহানবী (সঃ) এ মাস শুরু হলেই একটি বিশেষ দোয়া বেশি বেশি করে পাঠ করতেন। দোয়াটি
হচ্ছে- “আল্লাহুম্মা বারিকলানা ফি রাজাবা ওয়া শা’বান ওয়া বাল্লিগনা রমাদান”। অর্থ্যৎ- “হে আল্লাহ রজব
মাস ও শাবান মাস আমাদের জন্য বরকতময় করুন; রমজান মাস আমাদের নসিব করুন।
উপসংহারঃ এ মাসের পবিত্রতা রক্ষা করে প্রত্যেক মুসলমানের বিভিনড়ব ইবাদতের মাধ্যমে পবিত্র মাহে
রমজানকে স্বাগত জানানো উচিত।
✍️ মন্তব্য লিখুন