০২:৪১ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২১ অক্টোবর ২০২৫

১ টাকার কমিশনের ব্যবসায় কোটি টাকার বকেয়া: বেনাপোলে আমদানিকারকের সংবাদ সম্মেলন

ডেস্ক নিউজ


ইয়ানূর রহমান : বেনাপোল স্থলবন্দর দিয়ে ভারতের গুজরাট প্রদেশ থেকে ফ্রোজেন ফিশ (জমাটবদ্ধ মাছ) আমদানি ব্যবসায় কেজি প্রতি ১ টাকার কমিশন চুক্তিতে কোটি টাকার বকেয়া রেখে প্রতারণার অভিযোগ করেছেন মা ট্রেডার্সের স্বত্বাধিকারী আমদানিকারক মোঃ সাইদুর রহমান সাইদ।

সোমবার (২০ অক্টোবর) বিকেলে বেনাপোল রহমান চেম্বারের চতুর্থ তলায় মা ট্রেডার্স অফিস কক্ষে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে তিনি এ অভিযোগ করেন।

আমদানিকারক সাইদুর রহমান জানান, ২০২২ সাল থেকে তিনি চট্টগ্রামের ‘চট্টগ্রাম ফিসারিজ এ জে এস ট্রেডিং’ এর সত্ত্বাধিকারী জয়নাল আবেদীন এবং ‘রূপালী বাণিজ্য সংস্থা’ এর মালিক কামরুজ্জামান রুমানের সঙ্গে ফ্রোজেন ফিশ আমদানি ব্যবসা শুরু করেন। ভারতীয় গুজরাট থেকে মাছ আমদানি করে উক্ত দুইপ্রতিষ্ঠানের সঙ্গে চুক্তিমাফিক লেনদেন করে আসছিলেন তিনি।

তিনি বলেন, “আমি ব্যবসায় সফলতা আনয়নের লক্ষ্যে সময়ের ব্যবধানে প্রতি কেজি মাছের শুল্ক বাবদ মনোনীত সিএন্ডএফ প্রতিষ্ঠানকে বিভিন্ন সময়ে কেজি প্রতি ২৬.৫০ থেকে ৩২.৫০ টাকা পর্যন্ত পরিশোধ করেছি। এছাড়া ভারতে স্লট বুকিংয়ের জন্য প্রতিটি ট্রাকে ৬ হাজার টাকা দিয়েছি।” এর জন্য আমাকে বিভিন্ন জায়গা থেকে ধারদেনা নিতে হয়েছে, এমনকি বাবার সম্পত্তিও বিক্রি করতে হয়েছে।”

সাইদুর রহমান আরও বলেন, “আমি কেজি প্রতি ১ টাকার কমিশন বাদে প্রায় ৯০ লাখ কেজি মাছের ডিউটি ব্যাংকের মাধ্যমে ৭ কোটি ৬৭ লাখ ৮১ হাজার ২৬০ টাকা পরিশোধ করেছি। বর্তমানে তাদের কাছে আমার ১ কোটি ৩ লাখ টাকা বকেয়া রয়েছে।”

তিনি অভিযোগ করেন, “বর্তমানে তারা আমার টাকা না দিয়ে বেনাপোল স্থলবন্দরের অন্য ব্যবসায়ীদের মাধ্যমে একইভাবে আমদানির কাজ করছে। আমি আমার পাওনা চাইলে তারা টালবাহানা শুরু করেছে।” তার ছোট্র এই ব্যবসায় অগাধ পরিমাণে বাকি এবং ব্যবসাটি অন্যহাতে চলে যাওয়ায় ঋণ পরিশোধে তিনি এখন দেউলিয়া প্রায় বলে জানালেন এ সম্মেলনে।

সাইদুর রহমান আরও বলেন, “আমি সাংবাদিকদের মাধ্যমে ন্যায়বিচার কামনা করছি। তারা আমার বকেয়া টাকা পরিশোধ করলে যেখানে খুশি, যার সঙ্গে খুশি ব্যবসা করুক-তাতে আমার আপত্তি নেই। আমি শুধু আমার ন্যায্য প্রাপ্য চাই।”

এ সংবাদ সম্মেলনে তিনি বেনাপোলের স্থানীয় ব্যবসায়ী ও সংশ্লিষ্ঠ সরকারি দপ্তরের কর্মকর্তাদের সুদৃষ্টি এবং প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ কামনা করেছেন। এসময় বেনাপোলের স্থানীয় বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকরা উপস্থিত ছিলেন।#

Please Share This Post in Your Social Media

আপডেট: ১১:০২:৫০ অপরাহ্ন, সোমবার, ২০ অক্টোবর ২০২৫
৩৩

১ টাকার কমিশনের ব্যবসায় কোটি টাকার বকেয়া: বেনাপোলে আমদানিকারকের সংবাদ সম্মেলন

আপডেট: ১১:০২:৫০ অপরাহ্ন, সোমবার, ২০ অক্টোবর ২০২৫


ইয়ানূর রহমান : বেনাপোল স্থলবন্দর দিয়ে ভারতের গুজরাট প্রদেশ থেকে ফ্রোজেন ফিশ (জমাটবদ্ধ মাছ) আমদানি ব্যবসায় কেজি প্রতি ১ টাকার কমিশন চুক্তিতে কোটি টাকার বকেয়া রেখে প্রতারণার অভিযোগ করেছেন মা ট্রেডার্সের স্বত্বাধিকারী আমদানিকারক মোঃ সাইদুর রহমান সাইদ।

সোমবার (২০ অক্টোবর) বিকেলে বেনাপোল রহমান চেম্বারের চতুর্থ তলায় মা ট্রেডার্স অফিস কক্ষে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে তিনি এ অভিযোগ করেন।

আমদানিকারক সাইদুর রহমান জানান, ২০২২ সাল থেকে তিনি চট্টগ্রামের ‘চট্টগ্রাম ফিসারিজ এ জে এস ট্রেডিং’ এর সত্ত্বাধিকারী জয়নাল আবেদীন এবং ‘রূপালী বাণিজ্য সংস্থা’ এর মালিক কামরুজ্জামান রুমানের সঙ্গে ফ্রোজেন ফিশ আমদানি ব্যবসা শুরু করেন। ভারতীয় গুজরাট থেকে মাছ আমদানি করে উক্ত দুইপ্রতিষ্ঠানের সঙ্গে চুক্তিমাফিক লেনদেন করে আসছিলেন তিনি।

তিনি বলেন, “আমি ব্যবসায় সফলতা আনয়নের লক্ষ্যে সময়ের ব্যবধানে প্রতি কেজি মাছের শুল্ক বাবদ মনোনীত সিএন্ডএফ প্রতিষ্ঠানকে বিভিন্ন সময়ে কেজি প্রতি ২৬.৫০ থেকে ৩২.৫০ টাকা পর্যন্ত পরিশোধ করেছি। এছাড়া ভারতে স্লট বুকিংয়ের জন্য প্রতিটি ট্রাকে ৬ হাজার টাকা দিয়েছি।” এর জন্য আমাকে বিভিন্ন জায়গা থেকে ধারদেনা নিতে হয়েছে, এমনকি বাবার সম্পত্তিও বিক্রি করতে হয়েছে।”

সাইদুর রহমান আরও বলেন, “আমি কেজি প্রতি ১ টাকার কমিশন বাদে প্রায় ৯০ লাখ কেজি মাছের ডিউটি ব্যাংকের মাধ্যমে ৭ কোটি ৬৭ লাখ ৮১ হাজার ২৬০ টাকা পরিশোধ করেছি। বর্তমানে তাদের কাছে আমার ১ কোটি ৩ লাখ টাকা বকেয়া রয়েছে।”

তিনি অভিযোগ করেন, “বর্তমানে তারা আমার টাকা না দিয়ে বেনাপোল স্থলবন্দরের অন্য ব্যবসায়ীদের মাধ্যমে একইভাবে আমদানির কাজ করছে। আমি আমার পাওনা চাইলে তারা টালবাহানা শুরু করেছে।” তার ছোট্র এই ব্যবসায় অগাধ পরিমাণে বাকি এবং ব্যবসাটি অন্যহাতে চলে যাওয়ায় ঋণ পরিশোধে তিনি এখন দেউলিয়া প্রায় বলে জানালেন এ সম্মেলনে।

সাইদুর রহমান আরও বলেন, “আমি সাংবাদিকদের মাধ্যমে ন্যায়বিচার কামনা করছি। তারা আমার বকেয়া টাকা পরিশোধ করলে যেখানে খুশি, যার সঙ্গে খুশি ব্যবসা করুক-তাতে আমার আপত্তি নেই। আমি শুধু আমার ন্যায্য প্রাপ্য চাই।”

এ সংবাদ সম্মেলনে তিনি বেনাপোলের স্থানীয় ব্যবসায়ী ও সংশ্লিষ্ঠ সরকারি দপ্তরের কর্মকর্তাদের সুদৃষ্টি এবং প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ কামনা করেছেন। এসময় বেনাপোলের স্থানীয় বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকরা উপস্থিত ছিলেন।#