০৫:১৯ অপরাহ্ন, বুধবার, ১২ মার্চ ২০২৫

গলায় ফাস দিয়ে দশম শ্রেণির ছাত্রী আত্মহত্যা

নিউজ ডেস্ক

নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জে এক কিশোরী আত্মহত্যা করেছে। মঙ্গলবার (৪ মার্চ) দুপুরে উপজেলার চরপার্বতী ইউনিয়নের ৭নম্বর ওয়ার্ডের হাজী পাড়ার পাখি মিয়ার বাড়ি থেকে পুলিশ ওই কিশোরীর মরদেহ উদ্ধার করে।

এর আগে, সোমবার (৩ মার্চ) দিবাগত গভীর রাতে নানার বাড়িতে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করে ওই কিশোরী। মৃত ইয়াসমিন আক্তার (১৬) উপজেলার চরপার্বতী ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের সাবির আলী মিয়াজী বাড়ির আব্দুল হাকিমের মেয়ে এবং স্থানীয় কদমতলা এএসসি উচ্চ বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণির ছাত্রী ছিল।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, সোমবার বিকেলে থেকে ইয়াসমিন তার বাড়ি থেকে নিখোঁজ ছিল। এ ঘটনায় তার পরিবার থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন। পরে পুলিশ তাকে উদ্ধার করে রাত ১২টার দিকে থানা থেকে পরিবারের হাতে সোপর্দ করে। এরপর থানা থেকে তাকে নিজের বাড়িতে না নিয়ে নানার বাড়িতে রাখা হয়। সেখানে পরিবারের সদস্যদের অজান্তে গভীর রাতের দিকে শয়নকক্ষে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করে।

জানতে চাইলে কোম্পানীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) গাজী মুহাম্মদ ফৌজুল আজিম বলেন, ওই কিশোরী নিখোঁজ থাকায় তার পরিবার সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন। ওই মেয়ে লুকিয়ে রাগ করে পাশের বাড়িতে চলে যায়। পরে তাকে পাওয়া গেলে ভুল স্বীকার করে সে তার মায়ের সাথে চলে যায়।

ওসি আরও বলেন, মেয়েকে উদ্ধার করলে তার পরিবারের কোনও অভিযোগ বা আপত্তি না থাকায় জিডি প্রত্যাহার করে নেয়। পারিবারিক বিভিন্ন মনোমানিল্য থেকে এই আত্মহত্যার ঘটনা ঘটে। মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

Please Share This Post in Your Social Media

আপডেট: ০২:২৭:২৮ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৪ মার্চ ২০২৫

গলায় ফাস দিয়ে দশম শ্রেণির ছাত্রী আত্মহত্যা

আপডেট: ০২:২৭:২৮ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৪ মার্চ ২০২৫

নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জে এক কিশোরী আত্মহত্যা করেছে। মঙ্গলবার (৪ মার্চ) দুপুরে উপজেলার চরপার্বতী ইউনিয়নের ৭নম্বর ওয়ার্ডের হাজী পাড়ার পাখি মিয়ার বাড়ি থেকে পুলিশ ওই কিশোরীর মরদেহ উদ্ধার করে।

এর আগে, সোমবার (৩ মার্চ) দিবাগত গভীর রাতে নানার বাড়িতে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করে ওই কিশোরী। মৃত ইয়াসমিন আক্তার (১৬) উপজেলার চরপার্বতী ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের সাবির আলী মিয়াজী বাড়ির আব্দুল হাকিমের মেয়ে এবং স্থানীয় কদমতলা এএসসি উচ্চ বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণির ছাত্রী ছিল।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, সোমবার বিকেলে থেকে ইয়াসমিন তার বাড়ি থেকে নিখোঁজ ছিল। এ ঘটনায় তার পরিবার থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন। পরে পুলিশ তাকে উদ্ধার করে রাত ১২টার দিকে থানা থেকে পরিবারের হাতে সোপর্দ করে। এরপর থানা থেকে তাকে নিজের বাড়িতে না নিয়ে নানার বাড়িতে রাখা হয়। সেখানে পরিবারের সদস্যদের অজান্তে গভীর রাতের দিকে শয়নকক্ষে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করে।

জানতে চাইলে কোম্পানীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) গাজী মুহাম্মদ ফৌজুল আজিম বলেন, ওই কিশোরী নিখোঁজ থাকায় তার পরিবার সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন। ওই মেয়ে লুকিয়ে রাগ করে পাশের বাড়িতে চলে যায়। পরে তাকে পাওয়া গেলে ভুল স্বীকার করে সে তার মায়ের সাথে চলে যায়।

ওসি আরও বলেন, মেয়েকে উদ্ধার করলে তার পরিবারের কোনও অভিযোগ বা আপত্তি না থাকায় জিডি প্রত্যাহার করে নেয়। পারিবারিক বিভিন্ন মনোমানিল্য থেকে এই আত্মহত্যার ঘটনা ঘটে। মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।