০১:০১ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৮ নভেম্বর ২০২৫

বেনাপোল চেকপোস্টে ভারতীয় কম্বল পাচারের সময় ৩ আনসার সদস্য আটক

ডেস্ক নিউজ


ইয়ানূর রহমান : বেনাপোল চেকপোস্ট ইমিগ্রেশন এলাকা দিয়ে ভারতীয় কম্বল অবৈধভাবে পাচারের সময় তিনজন আনসার সদস্যকে আটক করা হলেও পরে বিশেষ সুপারিশে তাদের মুক্তি দিয়েছে কাস্টমস। তবে এ ঘটনায় সংশ্লিষ্টদের ক্লোজড করার প্রক্রিয়া চলছে বলে জানিয়েছে আনসার বাহিনী। বৃহস্পতিবার (২৭ নভেম্বর ২০২৫) দুপুর ১২টার দিকে চেকপোস্ট কাস্টমস অভ্যন্তরে এ ঘটনা ঘটে।

স্থানীয় সূত্র ও দায়িত্বশীল গোয়েন্দা কর্মকর্তারা জানান, পাসপোর্ট ব্যতীত বিদেশি কম্বল পাচারের চেষ্টা করার সময় আনসার সদস্যদের গতিবিধি গোয়েন্দা সংস্থার নজরে আসে। তাদের আটকে জিজ্ঞাসাবাদ করলে তারা নিজেদের আনসার সদস্য পরিচয় দেয়। পরে তাদের কাস্টমসের কাছে সোপর্দ করা হয়।

আটক তিন আনসার সদস্য হলেন- আতিকুর রহমান (আইডি: ০৫৫০৮৪৭২৯), রিয়াজুল ইসলাম (আইডি: ১৯১৬৫২০) ও ইসমাইল হোসেন (আইডি: ৫৯৬ ৬৫৩ ৩০৩৫)।

স্থানীয়দের অভিযোগের কেন্দ্রবিন্দুতে পিসি মিজানুর রহমান। স্থানীয়রা অভিযোগ করে বলেন, নতুন করে দায়িত্ব পাওয়া আনসার প্লাটুন কমান্ডার (পিসি) মিজানুর রহমানের সহযোগিতায় কিছু আনসার সদস্য বে-পরোয়া হয়ে পাসপোর্ট ছাড়া ভারতীয় কম্বল পাচারকারীদের সঙ্গে চুক্তিভিত্তিক লেনদেনে জড়িয়ে পড়ে। প্রতি কম্বল পাচারে ৫০০ টাকা করে চুক্তি নিয়ে তারা ইমিগ্রেশন থেকে বিজিবি চেকপোস্ট পর্যন্ত কম্বল পৌঁছে দিত বলে অভিযোগ রয়েছে।

এছাড়া পাসপোর্ট যাত্রীদের কাছে ‘সহযোগিতার’ নামে নগদ টাকা নিয়ে ই-অ্যারাইভাল কার্ড করেও দিতেন কিছু সদস্য।

আরও জানা যায়, ঘটনার পর কাস্টমস থেকে বিশেষ সুপারিশে মুক্তি পাওয়া তিন সদস্যকে পিসি মিজানুর রহমান নিজের জিম্মায় নিয়ে আসেন। কিন্তু কাস্টমস এলাকা ছাড়ার পর আবারও একই কম্বলসহ তারা বিজিবি চেকপোস্টে আটক হন। এখানেও পিসি মিজান পরিচয় দিয়ে তাদের ছাড়িয়ে নেন। ঘটনাটি এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি করেছে।

এ বিষয়ে এক গোয়েন্দা কর্মকর্তা পরিচয় গোপন রাখার শর্তে বলেন- “কম্বলসহ তিনজনকে সন্দেহজনক মনে হলে জিজ্ঞাসাবাদে তাদের আনসার পরিচয় পাওয়া যায়। পরে কাস্টমসের হাতে সোপর্দ করা হয় এবং পিসিকে বিষয়টি জানানো হয়।”

আনসার পিসি মিজানুর রহমান বলেন- “আটক সদস্যরা কার্গো ইয়ার্ডে দায়িত্বরত পিসির অধিনস্থ। কার্গো পিসি ছুটিতে থাকায় বাহিনীর বদনাম হবে ভেবে আমি তাদের ছাড়িয়ে এনেছি।”

কার্গো ইয়ার্ডের পিসির সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন- “আমি ছুটিতে আছি। বিষয়টি শুনেছি। জেলা কমান্ডারের সঙ্গে আলাপ হয়েছে। ওদের ক্লোজড করা হবে।”#

Please Share This Post in Your Social Media

আপডেট: ০৯:৪১:৪৫ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৭ নভেম্বর ২০২৫
১৬

বেনাপোল চেকপোস্টে ভারতীয় কম্বল পাচারের সময় ৩ আনসার সদস্য আটক

আপডেট: ০৯:৪১:৪৫ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৭ নভেম্বর ২০২৫


ইয়ানূর রহমান : বেনাপোল চেকপোস্ট ইমিগ্রেশন এলাকা দিয়ে ভারতীয় কম্বল অবৈধভাবে পাচারের সময় তিনজন আনসার সদস্যকে আটক করা হলেও পরে বিশেষ সুপারিশে তাদের মুক্তি দিয়েছে কাস্টমস। তবে এ ঘটনায় সংশ্লিষ্টদের ক্লোজড করার প্রক্রিয়া চলছে বলে জানিয়েছে আনসার বাহিনী। বৃহস্পতিবার (২৭ নভেম্বর ২০২৫) দুপুর ১২টার দিকে চেকপোস্ট কাস্টমস অভ্যন্তরে এ ঘটনা ঘটে।

স্থানীয় সূত্র ও দায়িত্বশীল গোয়েন্দা কর্মকর্তারা জানান, পাসপোর্ট ব্যতীত বিদেশি কম্বল পাচারের চেষ্টা করার সময় আনসার সদস্যদের গতিবিধি গোয়েন্দা সংস্থার নজরে আসে। তাদের আটকে জিজ্ঞাসাবাদ করলে তারা নিজেদের আনসার সদস্য পরিচয় দেয়। পরে তাদের কাস্টমসের কাছে সোপর্দ করা হয়।

আটক তিন আনসার সদস্য হলেন- আতিকুর রহমান (আইডি: ০৫৫০৮৪৭২৯), রিয়াজুল ইসলাম (আইডি: ১৯১৬৫২০) ও ইসমাইল হোসেন (আইডি: ৫৯৬ ৬৫৩ ৩০৩৫)।

স্থানীয়দের অভিযোগের কেন্দ্রবিন্দুতে পিসি মিজানুর রহমান। স্থানীয়রা অভিযোগ করে বলেন, নতুন করে দায়িত্ব পাওয়া আনসার প্লাটুন কমান্ডার (পিসি) মিজানুর রহমানের সহযোগিতায় কিছু আনসার সদস্য বে-পরোয়া হয়ে পাসপোর্ট ছাড়া ভারতীয় কম্বল পাচারকারীদের সঙ্গে চুক্তিভিত্তিক লেনদেনে জড়িয়ে পড়ে। প্রতি কম্বল পাচারে ৫০০ টাকা করে চুক্তি নিয়ে তারা ইমিগ্রেশন থেকে বিজিবি চেকপোস্ট পর্যন্ত কম্বল পৌঁছে দিত বলে অভিযোগ রয়েছে।

এছাড়া পাসপোর্ট যাত্রীদের কাছে ‘সহযোগিতার’ নামে নগদ টাকা নিয়ে ই-অ্যারাইভাল কার্ড করেও দিতেন কিছু সদস্য।

আরও জানা যায়, ঘটনার পর কাস্টমস থেকে বিশেষ সুপারিশে মুক্তি পাওয়া তিন সদস্যকে পিসি মিজানুর রহমান নিজের জিম্মায় নিয়ে আসেন। কিন্তু কাস্টমস এলাকা ছাড়ার পর আবারও একই কম্বলসহ তারা বিজিবি চেকপোস্টে আটক হন। এখানেও পিসি মিজান পরিচয় দিয়ে তাদের ছাড়িয়ে নেন। ঘটনাটি এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি করেছে।

এ বিষয়ে এক গোয়েন্দা কর্মকর্তা পরিচয় গোপন রাখার শর্তে বলেন- “কম্বলসহ তিনজনকে সন্দেহজনক মনে হলে জিজ্ঞাসাবাদে তাদের আনসার পরিচয় পাওয়া যায়। পরে কাস্টমসের হাতে সোপর্দ করা হয় এবং পিসিকে বিষয়টি জানানো হয়।”

আনসার পিসি মিজানুর রহমান বলেন- “আটক সদস্যরা কার্গো ইয়ার্ডে দায়িত্বরত পিসির অধিনস্থ। কার্গো পিসি ছুটিতে থাকায় বাহিনীর বদনাম হবে ভেবে আমি তাদের ছাড়িয়ে এনেছি।”

কার্গো ইয়ার্ডের পিসির সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন- “আমি ছুটিতে আছি। বিষয়টি শুনেছি। জেলা কমান্ডারের সঙ্গে আলাপ হয়েছে। ওদের ক্লোজড করা হবে।”#