যশোরের পল্লীতে পুকুর থেকে স্কুল ছাত্রীর মরদেহ উদ্ধার

মঙ্গলবার সকালে স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান আলহাজ্ব মিজানুর
রহমানের বাড়ির পেছনের পুকুর থেকে মাহমুদার মরদেহ উদ্ধার করা হয়। মরদেহ
উদ্ধারের সময় কিশোরীর শরীরে কোনো পোশাক ছিল না। পরে একই পুকুর থেকে তার
জামা ও ওড়না উদ্ধার করা হয়।
পারিবারিক ও স্থানীয় সূত্র জানায়, সোমবার স্কুল থেকে ফেরার পথে মাহমুদা
স্থানীয় মুদি ব্যবসায়ী মেহেদী হাসানের দোকানে যায়। দোকান থেকে রুটি নিয়ে
খাওয়ার সময় কথা কাটাকাটি হয়। এরপর মুদি ব্যবসায়ী বিষয়টি মাহমুদার মাকে
জানান। খবর পেয়ে মা ঘটনাস্থলে এসে মেয়েকে মারধর করে বাড়ি নিয়ে যান। এর পর
থেকেই সে নিখোঁজ ছিল।
পরিবার ও এলাকাবাসী রাতভর খোঁজাখুঁজি করেও তার কোনো সন্ধান পাননি। পরদিন
মঙ্গলবার সকাল ১০টার দিকে সাবেক চেয়ারম্যান মিজানুর রহমানের বাড়ির পেছনের
পুকুরে স্থানীয়রা চুল ভেসে থাকতে দেখে। পরে নিখোঁজ মাহমুদারেমরদেহ
উদ্ধার করে।
এ বিষয়ে মাহমুদার বাবা মাওলানা আনিসুর হক বলেন, আমার মেয়ে সাঁতার জানতো
না। হয়তো সে পানিতে ডুবে মারা গেছে।
মণিরামপুর থানার ওসি বাবলুর রহমান খাঁন জানান, আমরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন
করেছি। মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য যশোর সদর হাপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।
তদন্ত শেষে মৃত্যুর প্রকৃত কারণ জানা যাবে।