০৩:১০ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৬ অক্টোবর ২০২৫

নিজ সংস্কৃতিকে তুলে ধরতে প্রবাসী বাংলাদেশি দম্পতির ব্যতিক্রমী উদ্যোগ

ডেস্ক নিউজ

ইতালিতে মুনিয়া তামান্না তমা ও তাঁর সঙ্গীর আয়োজনে প্রবাসে বাংলাদেশের গন্ধে ভরা এক রঙিন সন্ধ্যা

ইতালি, অক্টোবর ২৫:
প্রবাসের মাটিতে বাংলাদেশের সংস্কৃতি, ঐতিহ্য ও আতিথেয়তার সুবাস ছড়িয়ে দিতে এক চমৎকার আয়োজন করেন প্রবাসী বাংলাদেশি দম্পতি মুনিয়া তামান্না তমা ও তাঁর জীবনসঙ্গী। ইতালির একটি স্থানীয় রেস্তোরাঁয় আয়োজিত এ নৈশভোজ ও সাংস্কৃতিক সন্ধ্যায় অংশ নেন অসংখ্য ইতালীয় নাগরিক, স্থানীয় সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব ও প্রবাসী বাংলাদেশিরা।

অনুষ্ঠানের শুরুতেই অতিথিদের পরিবেশন করা হয় বাংলাদেশি ঐতিহ্যবাহী খাবার — সিঙাড়া, চমচা, পুরি, পরোটা, চিকেন রোল ও বিরিয়ানি। রঙ, গন্ধ ও স্বাদে ভরা এসব খাবার ইতালীয় অতিথিদের কাছে ছিল একেবারেই নতুন অভিজ্ঞতা। কেউ কেউ প্রথমবারের মতো সিঙাড়া ও পুরির স্বাদ গ্রহণ করে বিস্ময় ও আনন্দ প্রকাশ করেন।

খাবারের পর শুরু হয় সংস্কৃতি সন্ধ্যা। মঞ্চে হারমোনিয়াম নিয়ে উপস্থিত হন বিশিষ্ট শিল্পী নোয়াখালীর জাবেদ একরাম, যিনি “মায়ের গান” ও বাংলা লোকসঙ্গীতের ছন্দে সবাইকে মাতিয়ে তোলেন। তাঁর সঙ্গে তবলায় সঙ্গ দেন দক্ষ বাদক সুদীর বাবু, যিনি তবলার সুরে ভরিয়ে তোলেন সমগ্র প্রাঙ্গণ।

সাংস্কৃতিক আয়োজনের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রাম, মুক্তিযুদ্ধ ও বাঙালির সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য সম্পর্কে তথ্যবহুল আলোচনা করেন সাংস্কৃতিক সংগঠক সাইফুদ্দিন খালেদ। তাঁর বক্তব্যে বিদেশি অতিথিরা গভীর আগ্রহ নিয়ে শোনেন বাংলাদেশের গৌরবময় ইতিহাস।

নিজ সংস্কৃতিকে তুলে ধরতে প্রবাসী বাংলাদেশি দম্পতির ব্যতিক্রমী উদ্যোগ
আয়োজক মুনিয়া তামান্না তমা জানান —

“প্রবাসে থেকেও আমরা আমাদের দেশ ও সংস্কৃতিকে হৃদয়ে লালন করি। এই আয়োজনের মাধ্যমে আমরা চেয়েছি ইতালীয় নাগরিকদের জানাতে, বাঙালি সংস্কৃতি কতটা সমৃদ্ধ, হৃদয়স্পর্শী ও প্রাণবন্ত।”

সন্ধ্যার শেষভাগে পুরো আয়োজনটি রূপ নেয় এক আন্তঃসংস্কৃতির উৎসবে। ইতালীয় অতিথিরা তালের সঙ্গে করতালি দেন, কেউ কেউ বাংলার গানে যোগ দেন সুরে সুরে।

নিজ সংস্কৃতিকে তুলে ধরতে প্রবাসী বাংলাদেশি দম্পতির ব্যতিক্রমী উদ্যোগ

📸 ছবিতে যা দেখা যায়:
১️⃣ দেশীয় খাবারের আকর্ষণীয় পরিবেশন — সিঙাড়া, চমচা, পুরি ও পরোটা সসের সঙ্গে সাজানো প্লেটে।
২️⃣ রেস্তোরাঁর টেবিলজুড়ে উৎসবের আমেজ — ইতালীয় অতিথিরা করতালি দিচ্ছেন ও অনুষ্ঠান উপভোগ করছেন।
৩️⃣ মঞ্চে শিল্পীরা — হারমোনিয়াম ও তবলার সুরে একাত্ম সংগীত পরিবেশন, পেছনে উৎসুক দর্শক।

এই ব্যতিক্রমী আয়োজন প্রমাণ করেছে — প্রবাসেও বাংলাদেশের সংস্কৃতি, সঙ্গীত ও ঐতিহ্যকে ভালোবেসে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া সম্ভব।
ইতালির আকাশে সেদিন বেজে উঠেছিল বাংলার সুর, ভেসে উঠেছিল প্রবাসে দেশপ্রেমের মিষ্টি অনুরণন।

Please Share This Post in Your Social Media

আপডেট: ১২:১৫:০১ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৬ অক্টোবর ২০২৫
১৪

নিজ সংস্কৃতিকে তুলে ধরতে প্রবাসী বাংলাদেশি দম্পতির ব্যতিক্রমী উদ্যোগ

আপডেট: ১২:১৫:০১ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৬ অক্টোবর ২০২৫

ইতালিতে মুনিয়া তামান্না তমা ও তাঁর সঙ্গীর আয়োজনে প্রবাসে বাংলাদেশের গন্ধে ভরা এক রঙিন সন্ধ্যা

ইতালি, অক্টোবর ২৫:
প্রবাসের মাটিতে বাংলাদেশের সংস্কৃতি, ঐতিহ্য ও আতিথেয়তার সুবাস ছড়িয়ে দিতে এক চমৎকার আয়োজন করেন প্রবাসী বাংলাদেশি দম্পতি মুনিয়া তামান্না তমা ও তাঁর জীবনসঙ্গী। ইতালির একটি স্থানীয় রেস্তোরাঁয় আয়োজিত এ নৈশভোজ ও সাংস্কৃতিক সন্ধ্যায় অংশ নেন অসংখ্য ইতালীয় নাগরিক, স্থানীয় সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব ও প্রবাসী বাংলাদেশিরা।

অনুষ্ঠানের শুরুতেই অতিথিদের পরিবেশন করা হয় বাংলাদেশি ঐতিহ্যবাহী খাবার — সিঙাড়া, চমচা, পুরি, পরোটা, চিকেন রোল ও বিরিয়ানি। রঙ, গন্ধ ও স্বাদে ভরা এসব খাবার ইতালীয় অতিথিদের কাছে ছিল একেবারেই নতুন অভিজ্ঞতা। কেউ কেউ প্রথমবারের মতো সিঙাড়া ও পুরির স্বাদ গ্রহণ করে বিস্ময় ও আনন্দ প্রকাশ করেন।

খাবারের পর শুরু হয় সংস্কৃতি সন্ধ্যা। মঞ্চে হারমোনিয়াম নিয়ে উপস্থিত হন বিশিষ্ট শিল্পী নোয়াখালীর জাবেদ একরাম, যিনি “মায়ের গান” ও বাংলা লোকসঙ্গীতের ছন্দে সবাইকে মাতিয়ে তোলেন। তাঁর সঙ্গে তবলায় সঙ্গ দেন দক্ষ বাদক সুদীর বাবু, যিনি তবলার সুরে ভরিয়ে তোলেন সমগ্র প্রাঙ্গণ।

সাংস্কৃতিক আয়োজনের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রাম, মুক্তিযুদ্ধ ও বাঙালির সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য সম্পর্কে তথ্যবহুল আলোচনা করেন সাংস্কৃতিক সংগঠক সাইফুদ্দিন খালেদ। তাঁর বক্তব্যে বিদেশি অতিথিরা গভীর আগ্রহ নিয়ে শোনেন বাংলাদেশের গৌরবময় ইতিহাস।

নিজ সংস্কৃতিকে তুলে ধরতে প্রবাসী বাংলাদেশি দম্পতির ব্যতিক্রমী উদ্যোগ
আয়োজক মুনিয়া তামান্না তমা জানান —

“প্রবাসে থেকেও আমরা আমাদের দেশ ও সংস্কৃতিকে হৃদয়ে লালন করি। এই আয়োজনের মাধ্যমে আমরা চেয়েছি ইতালীয় নাগরিকদের জানাতে, বাঙালি সংস্কৃতি কতটা সমৃদ্ধ, হৃদয়স্পর্শী ও প্রাণবন্ত।”

সন্ধ্যার শেষভাগে পুরো আয়োজনটি রূপ নেয় এক আন্তঃসংস্কৃতির উৎসবে। ইতালীয় অতিথিরা তালের সঙ্গে করতালি দেন, কেউ কেউ বাংলার গানে যোগ দেন সুরে সুরে।

নিজ সংস্কৃতিকে তুলে ধরতে প্রবাসী বাংলাদেশি দম্পতির ব্যতিক্রমী উদ্যোগ

📸 ছবিতে যা দেখা যায়:
১️⃣ দেশীয় খাবারের আকর্ষণীয় পরিবেশন — সিঙাড়া, চমচা, পুরি ও পরোটা সসের সঙ্গে সাজানো প্লেটে।
২️⃣ রেস্তোরাঁর টেবিলজুড়ে উৎসবের আমেজ — ইতালীয় অতিথিরা করতালি দিচ্ছেন ও অনুষ্ঠান উপভোগ করছেন।
৩️⃣ মঞ্চে শিল্পীরা — হারমোনিয়াম ও তবলার সুরে একাত্ম সংগীত পরিবেশন, পেছনে উৎসুক দর্শক।

এই ব্যতিক্রমী আয়োজন প্রমাণ করেছে — প্রবাসেও বাংলাদেশের সংস্কৃতি, সঙ্গীত ও ঐতিহ্যকে ভালোবেসে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া সম্ভব।
ইতালির আকাশে সেদিন বেজে উঠেছিল বাংলার সুর, ভেসে উঠেছিল প্রবাসে দেশপ্রেমের মিষ্টি অনুরণন।