ইকোনমিক পার্টনারশিপ এগ্রিমেন্ট (ইপিএ) চুক্তির আওতায় জাপানের বাজারে বাংলাদেশের সাত হাজার ৩৭৯টি পণ্য তাৎক্ষণিকভাবে শুল্কমুক্ত প্রবেশাধিকার পাবে। একই চুক্তির আওতায় জাপানের ১ হাজার ৩৯টি পণ্য বাংলাদেশে শুল্কমুক্ত সুবিধা পাবে।
এই শুল্কমুক্ত সুবিধা চুক্তি কার্যকর হওয়ার প্রথম দিন থেকেই প্রযোজ্য হবে এবং টানা ১৮ বছর বহাল থাকবে।
সোমবার (২২ ডিসেম্বর) সচিবালয়ে আয়োজিত এক ব্রিফিংয়ে এ তথ্য জানায় বাণিজ্য মন্ত্রণালয়।
মন্ত্রণালয়ের কনফারেন্স রুমে অনুষ্ঠিত ওই ব্রিফিংয়ে উপস্থিত ছিলেন বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশীরউদ্দিন, প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ দূত লুৎফে সিদ্দিক, বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (বিডা) চেয়ারম্যান চৌধুরী আশিক মাহমুদ বিন হারুন এবং বাণিজ্য সচিব মাহবুবুর রহমান।
ব্রিফিংয়ে জানানো হয়, বাংলাদেশের প্রধান রপ্তানি পণ্য—বিশেষ করে তৈরি পোশাক (আরএমজি)—জাপানের বাজারে শুল্কমুক্ত প্রবেশাধিকার পাবে। পাশাপাশি আরএমজি খাত একক পর্যায়ের রূপান্তর বিধান (সিংগেল ট্রান্সফরমেশন রুল) সুবিধা থেকেও উপকৃত হবে, যা বাংলাদেশের রপ্তানিযোগ্য পোশাক শিল্পের প্রতিযোগিতা সক্ষমতা আরও বাড়াবে।
বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশীরউদ্দিন বলেন, “এই শুল্কমুক্ত সুবিধা ১৮ বছর ধরে কার্যকর থাকবে। এ বিষয়ে আমি জাপানের বাণিজ্যমন্ত্রীর সঙ্গে টেলিফোনে আলোচনা করেছি এবং এরপর বিষয়টি চূড়ান্তভাবে নিশ্চিত করা হয়েছে।”
তিনি আরও জানান, ইপিএ চুক্তির মাধ্যমে বাংলাদেশ–জাপান বাণিজ্য সম্পর্ক নতুন উচ্চতায় পৌঁছাবে এবং রপ্তানি আয় বৃদ্ধিতে এটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। চুক্তির বিস্তারিত শিগগিরই প্রকাশ করা হবে।

✍️ মন্তব্য লিখুন