১১:৩৫ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৫ অক্টোবর ২০২৫

গুমের অভিযোগে দায়ের করা দুই মামলায় শেখ হাসিনাসহ ৩০ জনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা

নিউজ ডেস্ক

আওয়ামী লীগ সরকারের শাসনামলে গুমের অভিযোগে দায়ের করা দুই মামলায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ ৩০ জনের বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ আমলে নিয়েছে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১।

শুনানি শেষে আসামিদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানাও জারি করেছেন ট্রাইব্যুনাল। বুধবার (৮ অক্টোবর) সকালে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১-এ প্রসিকিউশনের পক্ষ থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে অভিযোগপত্র জমা দেওয়া হয়। পরে শুনানি শেষে ট্রাইব্যুনাল এ আদেশ দেন।

গুমের দুই মামলার শুনানি শেষে ট্রাইব্যুনাল শেখ হাসিনা, তারিক আহমেদ সিদ্দিক, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল, সাবেক আইজিপি বেনজির আহমেদসহ মোট ৩০ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ আমলে নেন এবং তাদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন।

আওয়ামী লীগের দীর্ঘ শাসনামলে বিরোধী রাজনৈতিক ঘরানার লোকজনকে গুম করে র‌্যাবের টাস্কফোর্স ইন্টারোগেশনের (টিএফআই) গোপন সেলে বন্দি রেখে নির্যাতনের অভিযোগে দায়ের করা মানবতাবিরোধী অপরাধ মামলায় শেখ হাসিনাকে প্রধান আসামি করে এ অভিযোগপত্র দাখিল করা হয়।

এদিকে ২০২৪ সালের জুলাই-আগস্টে চলমান ছাত্র-জনতার আন্দোলন কেন্দ্র করে রাজধানীর রামপুরায় ২৮ জনকে হত্যার ঘটনায় দায়ের করা মানবতাবিরোধী অপরাধের অপর এক মামলায় বিজিবির সাবেক কর্মকর্তা লেফটেন্যান্ট কর্নেল রেদোয়ানুল ইসলামসহ চারজনের বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ দাখিল করা হয়।

শুনানি শেষে এ মামলার চার আসামির বিরুদ্ধেও অভিযোগ আমলে নিয়ে ট্রাইব্যুনাল তাদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন।

এ মামলার অন্যান্য আসামিরা হলেন বিজিবির আরেক কর্মকর্তা মেজর মো. রাফাত বিন আলম মুন, ডিএমপির খিলগাঁও অঞ্চলের সাবেক অতিরিক্ত উপকমিশনার (এডিসি) মো. রাশেদুল ইসলাম এবং রামপুরা থানার সাবেক ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মশিউর রহমান।

উল্লেখ্য, ২০২৪ সালের জুলাই-আগস্টে ছাত্র-জনতার আন্দোলনের সময় দেশজুড়ে ব্যাপক হত্যাযজ্ঞের ঘটনা ঘটে। এর মধ্যে রাজধানীর রামপুরায় ২৮ জন নিহত হন এবং আরও অনেকে আহত হন।

প্রত্যক্ষদর্শীদের মতে, রামপুরায় বিজিবি কর্মকর্তা রেদোয়ানুল ইসলামকে আন্দোলনকারীদের ওপর সরাসরি গুলি চালাতে দেখা যায়। অন্য আসামিরাও এ ঘটনায় নেতৃত্ব দিয়েছেন বলে অভিযোগ রয়েছে।

ঘটনার পর তদন্ত সংস্থার কর্মকর্তারা বিস্তারিত তদন্ত শেষে চার আসামির বিরুদ্ধে রিপোর্ট দাখিল করেন। সেই রিপোর্টের ভিত্তিতেই ট্রাইব্যুনালে আনুষ্ঠানিক অভিযোগপত্র (ফরমাল চার্জ) দাখিল করা হয়।

Please Share This Post in Your Social Media

আপডেট: ০৩:০৬:৫৩ অপরাহ্ন, বুধবার, ৮ অক্টোবর ২০২৫
৫১

গুমের অভিযোগে দায়ের করা দুই মামলায় শেখ হাসিনাসহ ৩০ জনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা

আপডেট: ০৩:০৬:৫৩ অপরাহ্ন, বুধবার, ৮ অক্টোবর ২০২৫

আওয়ামী লীগ সরকারের শাসনামলে গুমের অভিযোগে দায়ের করা দুই মামলায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ ৩০ জনের বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ আমলে নিয়েছে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১।

শুনানি শেষে আসামিদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানাও জারি করেছেন ট্রাইব্যুনাল। বুধবার (৮ অক্টোবর) সকালে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১-এ প্রসিকিউশনের পক্ষ থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে অভিযোগপত্র জমা দেওয়া হয়। পরে শুনানি শেষে ট্রাইব্যুনাল এ আদেশ দেন।

গুমের দুই মামলার শুনানি শেষে ট্রাইব্যুনাল শেখ হাসিনা, তারিক আহমেদ সিদ্দিক, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল, সাবেক আইজিপি বেনজির আহমেদসহ মোট ৩০ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ আমলে নেন এবং তাদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন।

আওয়ামী লীগের দীর্ঘ শাসনামলে বিরোধী রাজনৈতিক ঘরানার লোকজনকে গুম করে র‌্যাবের টাস্কফোর্স ইন্টারোগেশনের (টিএফআই) গোপন সেলে বন্দি রেখে নির্যাতনের অভিযোগে দায়ের করা মানবতাবিরোধী অপরাধ মামলায় শেখ হাসিনাকে প্রধান আসামি করে এ অভিযোগপত্র দাখিল করা হয়।

এদিকে ২০২৪ সালের জুলাই-আগস্টে চলমান ছাত্র-জনতার আন্দোলন কেন্দ্র করে রাজধানীর রামপুরায় ২৮ জনকে হত্যার ঘটনায় দায়ের করা মানবতাবিরোধী অপরাধের অপর এক মামলায় বিজিবির সাবেক কর্মকর্তা লেফটেন্যান্ট কর্নেল রেদোয়ানুল ইসলামসহ চারজনের বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ দাখিল করা হয়।

শুনানি শেষে এ মামলার চার আসামির বিরুদ্ধেও অভিযোগ আমলে নিয়ে ট্রাইব্যুনাল তাদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন।

এ মামলার অন্যান্য আসামিরা হলেন বিজিবির আরেক কর্মকর্তা মেজর মো. রাফাত বিন আলম মুন, ডিএমপির খিলগাঁও অঞ্চলের সাবেক অতিরিক্ত উপকমিশনার (এডিসি) মো. রাশেদুল ইসলাম এবং রামপুরা থানার সাবেক ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মশিউর রহমান।

উল্লেখ্য, ২০২৪ সালের জুলাই-আগস্টে ছাত্র-জনতার আন্দোলনের সময় দেশজুড়ে ব্যাপক হত্যাযজ্ঞের ঘটনা ঘটে। এর মধ্যে রাজধানীর রামপুরায় ২৮ জন নিহত হন এবং আরও অনেকে আহত হন।

প্রত্যক্ষদর্শীদের মতে, রামপুরায় বিজিবি কর্মকর্তা রেদোয়ানুল ইসলামকে আন্দোলনকারীদের ওপর সরাসরি গুলি চালাতে দেখা যায়। অন্য আসামিরাও এ ঘটনায় নেতৃত্ব দিয়েছেন বলে অভিযোগ রয়েছে।

ঘটনার পর তদন্ত সংস্থার কর্মকর্তারা বিস্তারিত তদন্ত শেষে চার আসামির বিরুদ্ধে রিপোর্ট দাখিল করেন। সেই রিপোর্টের ভিত্তিতেই ট্রাইব্যুনালে আনুষ্ঠানিক অভিযোগপত্র (ফরমাল চার্জ) দাখিল করা হয়।