
ইয়ানূর রহমান : বেনাপোলে’ বাংলাদেশ রেলওয়ের পাকশী বিভাগীয় গণশুনানি অনুষ্ঠিত হয়েছে। মঙ্গলবার দুপুর ১টায় বেনাপোল রেলওয়ে স্টেশনের ইমিগ্রেশন কার্যালয়ের সভাকক্ষে এ গণশুনানি অনুষ্ঠিত হয়।
বেনাপোল রেলওয়ে স্টেশন মাস্টার আয়নাল হাসানের সভাপতিত্বে আয়োজিত গণশুনানিতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পাকশী বিভাগীয় রেলওয়ে ব্যবস্থাপক লিয়াকত শরীফ।
গণশুনানিতে উন্মুক্ত আলোচনায় স্থানীয় স্টেকহোল্ডাররা যাত্রীসেবা সম্প্রসারণ, আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্য সহজীকরণ এবং রেলওয়ে অবকাঠামো আধুনিকায়নের বিভিন্ন দাবি তুলে ধরেন। বক্তারা বেনাপোল-ঢাকা রুটে রুপসী বাংলা ট্রেনের আদলে আরও একটি যাত্রী ট্রেন চালু করে প্রতিদিন সকাল ৬টা থেকে দুইটি ট্রেন চলাচলের দাবি জানান।
বক্তারা বলেন, দেশের সর্ববৃহত্তম স্থলবন্দর বেনাপোল দিয়ে ভারত-বাংলাদেশের সিংহভাগ আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্য সম্পন্ন হয়। পাশাপাশি বেনাপোল আন্তর্জাতিক চেকপোস্ট দিয়ে স্বাভাবিক সময়ে প্রতিদিন ৮ থেকে ১০ হাজার পাসপোর্ট যাত্রী যাতায়াত করেন। এ কারণে ঢাকা-বেনাপোল রুটটি যাত্রী ও বাণিজ্যিক উভয় দিক থেকেই অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
গণশুনানিতে ভারত থেকে আমদানিকৃত পণ্য বেনাপোল বন্দরে খালাস না হয়ে ৫০ থেকে ৭০ কিলোমিটার দূরের বসুন্দিয়া বা নওয়াপাড়া স্টেশনে খালাস হওয়ায় অসন্তোষ প্রকাশ করা হয়। দ্রুত বেনাপোল রেলওয়ে স্টেশনে পণ্য খালাসের ব্যবস্থা নিশ্চিত করার দাবি জানান ব্যবসায়ীরা।
এছাড়া বেনাপোল রেলওয়ে স্টেশনকে আইসিটি স্টেশন হিসেবে ঘোষণা, অত্যাধুনিক স্টেশন ভবন নির্মাণ, পানি নিষ্কাশনের জন্য ড্রেনেজ ব্যবস্থা উন্নয়ন, বয়স্ক ও প্রতিবন্ধীদের সুবিধার্থে প্ল্যাটফর্ম সমান্তরালকরণসহ বিভিন্ন অবকাঠামোগত দাবি উত্থাপন করা হয়।
গণশুনানিতে বক্তব্য দেন বেনাপোল সিএন্ডএফ এজেন্টস অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি আলহাজ¦ শামসুর রহমান, সহ-সভাপতি ও শার্শা উপজেলা বিএনপির প্রধান উপদেষ্টা আলহাজ¦ খায়রুজ্জামান মধু, সাবেক সভাপতি মফিজুর রহমান সজন, বেনাপোল ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান মাসুদুর রহমান মিলন, প্রেসক্লাব বেনাপোলের সাধারণ সম্পাদক বকুল মাহবুব, হ্যান্ডলিং শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক শহীদ আলী প্রমুখ।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন পাকশী বিভাগীয় যান্ত্রিক প্রকৌশলী (লোকো) মোঃ ময়েন উদ্দীন সরদার, ডিইএন-১ মোঃ হানিফ হোসেন, ডিটিও হাসিনা আক্তার, ডিসিও গৌতম কুমার কুন্ডু, ডিইই রিফাত শাকিলসহ রেলওয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।
✍️ মন্তব্য লিখুন