০৬:৫৭ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৫

যশোরে অনলাইনে ৪৭ লাখ টাকার প্রতারণা মামলায় প্রতারকচক্রের তিন সদস্য আটক

ডেস্ক নিউজ
ইয়ানূর রহমান : অনলাইনে প্রতারণা করে ৪৭ লাখ টাকা হাতিয়ে নেওয়ার ঘটনায়
তিন প্রতারককে  যশোরের সাইবার ক্রাইম ইনভেস্টিগেশন সেলের সদস্যরা আটক
করেছে। আটককৃতরা হলেন, গোপালগঞ্জ জেলার টুঙ্গিপাড়া উপজেলার পারঝনঝনিয়া
গ্রামের আলাউদ্দিন শেখ, ঢাকা সাভারের ঘাসমহল গ্রামের জাহিদুল ইসলাম এবং
পটুয়াখালী জেলার মির্জাগঞ্জ উপজেলার ছৈলাবুনিয়া গ্রামের এনামুল হক।
রোববার রাতে ঢাকার বাড্ডা ও সাভার এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদেরকে আটক করা
হয়।

সোমবার বিকেলে তাদের যশোর আদালতে সোপর্দ করলে বিচারক তাদের কারাগারে
পাঠানোর আদেশ দেন। এর আগে এ ঘটনায় শনিবার দিবাগত রাতে কোতোয়ালি থানায়
মামলা করেন ভুক্তভোগী যশোর শহরের শংকরপুর চোপদারপাড়ার জাহাঙ্গীর আলম।
মামলায় অজ্ঞাত ৭/৮ জনকে আসামি করা হয়।

জাহাঙ্গীর আলমের অভিযোগ, একটি ওয়েবসাইট থেকে গত ২২ মার্চ টেলিগ্রামে একটি
লিংক দেওয়া হয়। মেসেজ পাওয়ার পর তিনি বিভিন্ন সময়ে টেলিগ্রামে আসামিদের
সঙ্গে কথা বলেন। তাকে বলা হয়, তাদের কাছ থেকে কাজ পেতে হলে জামানত হিসেবে
টাকা দিতে হবে, আর কাজ না হলে টাকা ফেরত দেওয়া হবে। ওই দিন দুপুরে তিনি
একটি নগদ নম্বরে ১০ হাজার টাকা পাঠান। আনুমানিক এক ঘণ্টা পর তার কাছে
জামানত ও পারিশ্রমিক বাবদ ১৭ হাজার টাকা পাঠানো হয়। এতে তিনি বিশ্বাস
স্থাপন করেন।

পরবর্তীতে জানানো হয়, যদি এক লাখ টাকা জামানত রাখতে পারেন তাহলে আরও বেশি
পারিশ্রমিক দেওয়া হবে। তিনি সিটি ব্যাংকের নারায়ণগঞ্জ শাখা ও ফেনী শাখায়
২৪ হাজার টাকা পাঠান। পরে বিভিন্ন সময়ে সিটি ব্যাংক, ডাচ্‌-বাংলা ব্যাংক,
বিকাশ, নগদসহ নানা মাধ্যমে মোট ৪৬ লাখ ৬৬ হাজার ৭২৫ টাকা পাঠান তিনি।
কিন্তু এরপরও জামানত ফেরত না পেয়ে এবং তাদের কথাবার্তায় বিভ্রান্ত হয়ে
তিনি বুঝতে পারেন যে প্রতারকদের খপ্পরে পড়েছেন। ফলে তিনি কোতোয়ালি থানায়
মামলা করেন।

মামলার তদন্ত কর্মকর্তা সাইবার ক্রাইম ইউনিটের এসআই দেবব্রত ঘোষ বলেন,
রোববার ভোরে বাড্ডা থেকে প্রথমে আলাউদ্দিন শেখকে আটক করা হয়। পরে তার
স্বীকারোক্তিতে ঘটনার সঙ্গে জড়িত জাহিদুলকে সাভারের নিজ বাড়ি থেকে আটক
করা হয়। তিনিও ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেন। পরে আরেক আসামি জাহাঙ্গীরকে
বাড্ডা থেকে আটক করা হয়। তিনিও ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেন।
এসআই দেবব্রত ঘোষ আরও জানান, এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত আরও কয়েকজন রয়েছেন।
তাদের ধরতে পুলিশ অভিযান অব্যাহত রেখেছে।

Please Share This Post in Your Social Media

আপডেট: ০৫:০৯:৪৯ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৫

যশোরে অনলাইনে ৪৭ লাখ টাকার প্রতারণা মামলায় প্রতারকচক্রের তিন সদস্য আটক

আপডেট: ০৫:০৯:৪৯ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৫
ইয়ানূর রহমান : অনলাইনে প্রতারণা করে ৪৭ লাখ টাকা হাতিয়ে নেওয়ার ঘটনায়
তিন প্রতারককে  যশোরের সাইবার ক্রাইম ইনভেস্টিগেশন সেলের সদস্যরা আটক
করেছে। আটককৃতরা হলেন, গোপালগঞ্জ জেলার টুঙ্গিপাড়া উপজেলার পারঝনঝনিয়া
গ্রামের আলাউদ্দিন শেখ, ঢাকা সাভারের ঘাসমহল গ্রামের জাহিদুল ইসলাম এবং
পটুয়াখালী জেলার মির্জাগঞ্জ উপজেলার ছৈলাবুনিয়া গ্রামের এনামুল হক।
রোববার রাতে ঢাকার বাড্ডা ও সাভার এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদেরকে আটক করা
হয়।

সোমবার বিকেলে তাদের যশোর আদালতে সোপর্দ করলে বিচারক তাদের কারাগারে
পাঠানোর আদেশ দেন। এর আগে এ ঘটনায় শনিবার দিবাগত রাতে কোতোয়ালি থানায়
মামলা করেন ভুক্তভোগী যশোর শহরের শংকরপুর চোপদারপাড়ার জাহাঙ্গীর আলম।
মামলায় অজ্ঞাত ৭/৮ জনকে আসামি করা হয়।

জাহাঙ্গীর আলমের অভিযোগ, একটি ওয়েবসাইট থেকে গত ২২ মার্চ টেলিগ্রামে একটি
লিংক দেওয়া হয়। মেসেজ পাওয়ার পর তিনি বিভিন্ন সময়ে টেলিগ্রামে আসামিদের
সঙ্গে কথা বলেন। তাকে বলা হয়, তাদের কাছ থেকে কাজ পেতে হলে জামানত হিসেবে
টাকা দিতে হবে, আর কাজ না হলে টাকা ফেরত দেওয়া হবে। ওই দিন দুপুরে তিনি
একটি নগদ নম্বরে ১০ হাজার টাকা পাঠান। আনুমানিক এক ঘণ্টা পর তার কাছে
জামানত ও পারিশ্রমিক বাবদ ১৭ হাজার টাকা পাঠানো হয়। এতে তিনি বিশ্বাস
স্থাপন করেন।

পরবর্তীতে জানানো হয়, যদি এক লাখ টাকা জামানত রাখতে পারেন তাহলে আরও বেশি
পারিশ্রমিক দেওয়া হবে। তিনি সিটি ব্যাংকের নারায়ণগঞ্জ শাখা ও ফেনী শাখায়
২৪ হাজার টাকা পাঠান। পরে বিভিন্ন সময়ে সিটি ব্যাংক, ডাচ্‌-বাংলা ব্যাংক,
বিকাশ, নগদসহ নানা মাধ্যমে মোট ৪৬ লাখ ৬৬ হাজার ৭২৫ টাকা পাঠান তিনি।
কিন্তু এরপরও জামানত ফেরত না পেয়ে এবং তাদের কথাবার্তায় বিভ্রান্ত হয়ে
তিনি বুঝতে পারেন যে প্রতারকদের খপ্পরে পড়েছেন। ফলে তিনি কোতোয়ালি থানায়
মামলা করেন।

মামলার তদন্ত কর্মকর্তা সাইবার ক্রাইম ইউনিটের এসআই দেবব্রত ঘোষ বলেন,
রোববার ভোরে বাড্ডা থেকে প্রথমে আলাউদ্দিন শেখকে আটক করা হয়। পরে তার
স্বীকারোক্তিতে ঘটনার সঙ্গে জড়িত জাহিদুলকে সাভারের নিজ বাড়ি থেকে আটক
করা হয়। তিনিও ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেন। পরে আরেক আসামি জাহাঙ্গীরকে
বাড্ডা থেকে আটক করা হয়। তিনিও ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেন।
এসআই দেবব্রত ঘোষ আরও জানান, এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত আরও কয়েকজন রয়েছেন।
তাদের ধরতে পুলিশ অভিযান অব্যাহত রেখেছে।