শিবির করার কারণে ১৯৮০ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়

———————————
শিবির করার কারণে ১৯৮০ একদিন এই প্রাঙ্গণেই (ঢাবি) অপরজয় বাংলার পাদদেশে আমার রক্ত ঝরেছিল আমাদের প্রতিপক্ষ বন্ধুদের হাতে।খবর পেয়ে ছুটে এসেছিলেন আমাদের দায়িত্বশীল ভাইদের মধ্যে আজ মনে পড়ে ভাই জসীমউদ্দীন, আব্দুল কাইয়ুম শাহজালাল চৌধুরী সহ অনেক ভাই আমাকে উদ্ধার করার জন্য ।তাৎক্ষণিকভাবে তারা আমাকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ইমার্জেন্সিতে নিয়ে যায়।ঢাকা মেডিকেল হাসপাতালের জরুরী বিভাগে কয় ঘন্টা থাকার পর আমাদের ভাইয়েরা পুনরায় আমার উপর আক্রমণ করার আশঙ্কার কারণে সেখান থেকে আমাকে নিমতলী একটি বাসায় নিয়ে যায়। এখানে সাত দিন পর অসুস্থ হয়ে আমি পুনরায় আমার প্রাণ প্রিয় ক্যাম্পাসে ফিরে আসার সুযোগ অর্জন করেছি কিন্তু কয়েকজন ভাই সব সময় আমাকে পাহারা দিয়ে রাখতেন। সেদিনের সেই জটিল পরিস্থিতিতে আমাকে আহত করার প্রতিবাদের জন্য আমাদের প্রাণপ্রিয় সংগঠন পত্রিকার বিজ্ঞপ্তি পর্যন্ত দিতে পারে নাই টেকনিকাল কারণে। পরিস্থিতির অনিবার্য দাবির প্রতি সম্মান প্রদর্শন করা হয়েছে। মনে করেছিলাম হয়তোবা ত্যাগের চূড়ান্ত পুরস্কার—শাহাদাতের মর্যাদা নিয়েই প্রভুর দরবারে ফিরে যাবো।
কিন্তু আল্লাহ তখনও আমাকে শহীদের মর্যাদা দেওয়ার জন্য ডাকেননি; তিনি চেয়েছিলেন আমি বেঁচে থাকি—তাঁর দাওয়াতের সাক্ষ্য হয়ে। (আল্লাহ যেন আমায় শহীদ হিসেবে কবুল করেন)। দাওয়াতের যে আহ্বান নিয়ে পথে নেমেছিলাম, অথচ সেই পথেই হয়েছিলাম হত্যাযোগ্য মাইরের শিকার। হাত পা ভেঙে দেওয়া সহ সর্বোচ্চ নির্যাতনের শিকার হয়েছিলাম।
আজ সেই একই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাঙ্গণ থেকে ইসলামী ছাত্রশিবিরের ইতিহাস–গড়া ভূমিধস বিজয়ের সংবাদ যখন কানে এল, তখন হৃদয়টা আবারও কেঁপে উঠল…তবে এবার কোনো ব্যথায় নয়—গর্ব, কৃতজ্ঞতা ও আবেগের উচ্ছ্বাসে।
যে মাটিতে আমরা একদিন বপন করেছিলাম দাওয়াত, ত্যাগ ও আদর্শের বীজ, আজ সেই মাটিতেই নবীন প্রজন্ম ঘরে তুলেছে আলোর ফসল, ঈমান ও জয়ের সুমিষ্ট ফল। আমি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এক জন প্রাক্তন ছাত্র ও ইসলামী ছাত্রশিবিরের সাবেক দায়িত্বশীল হিসেবে আজ গভীর বেদনা , আবেগ ও গর্বে অশ্রুসিক্ত কৃতজ্ঞতায় বলছি: আলহামদুলিল্লাহ! আলহামদুলিল্লাহ!
নির্বাচিতদের উদ্দেশে আমার হৃদয়ভরা আহ্বান—এই বিজয় এক মহা আমানত, যত্নে রেখো।
তোমাদের যুদ্ধ ময়দানের সহযোদ্ধা ভাই,
অধ্যাপক মোঃ জাকির হোসাইন,
চেয়ারম্যান,
সরকার ও রাজনীতি বিভাগ,
ইউনিভার্সিটি অফ বাংলাদেশ।
সাবেক, সভাপতি বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির,এস এম হল , ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ১৯৭৮,
সাংগঠনিক সম্পাদক, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির ১৯৭৯,
সাধারণ সম্পাদক, বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়,১৯৮২-১৯৮৩,
কেন্দ্রীয় কার্যকরী পরিষদ সদস্য, বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির ১৯৮২ -১৯৮৩.
















