আগামী দুই দিনে দেশে প্লাবিত হতে পারে ৭ জেলার নিম্নাঞ্চল
আগামী দুই দিনে দেশের বিভিন্ন স্থানে অতি ভারী বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে। এর ফলে নদ-নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়ে ৭ জেলার নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হতে পারে বলে জানিয়েছে পানি উন্নয়ন বোর্ডের বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্র। বৃহস্পতিবার (২ অক্টোবর) দেশের নদ-নদীর বর্তমান পরিস্থিতি তুলে ধরে দেওয়া এক পূর্বাভাসে এ তথ্য জানানো হয়।
কেন্দ্রের তথ্যে বলা হয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় চট্টগ্রাম বিভাগের গোমতী, মুহুরী, সেলোনিয়া ও ফেনী নদীর পানি সমতল বেড়েছে। আগামী দুই দিনে এসব নদীর পানি আরও বাড়তে পারে। বিশেষ করে মুহুরী, সেলোনিয়া ও ফেনী নদীর পানি ফেনী জেলায় বিপদসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। এতে এসব নদী সংলগ্ন নিম্নাঞ্চলে স্বল্পমেয়াদি বন্যা পরিস্থিতি দেখা দিতে পারে।
এছাড়াও এই সময়ে ফেনী নদীর চট্টগ্রাম জেলায় পানি সমতল সতর্কসীমায় প্রবাহিত হতে পারে এবং নদী সংলগ্ন নিম্নাঞ্চলগুলো সাময়িকভাবে প্লাবিত হতে পারে। তবে তৃতীয় দিনে পানি সমতল হ্রাস পেতে পারে।
এদিকে গত ২৪ ঘণ্টায় রংপুর বিভাগের তিস্তা নদীর পানি সমতল বৃদ্ধি পেয়েছে। তবে ধরলা ও দুধকুমার নদীর পানি সমতল হ্রাস পেয়েছে। আগামী ৩ দিন এসব নদীর পানি সমতল বৃদ্ধি পেতে পারে। ফলে এই সময়ে তিস্তা নদীর পানি সতর্কসীমায় প্রবাহিত হতে পারে এবং লালমনিরহাট ও নীলফামারী জেলার এসব নদী সংলগ্ন নিম্নাঞ্চল সাময়িকভাবে প্লাবিত হতে পারে।
বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্র আরও জানিয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় ময়মনসিংহ বিভাগের কংস নদীর পানি সমতল হ্রাস পেয়েছে। অপরদিকে সোমেশ্বরী ও ভুগাই নদীর পানি সমতল স্থিতিশীল আছে। আগামী ৩ দিন এসব নদীর পানি বৃদ্ধি পেতে পারে। ফলে এই সময়ে সোমেশ্বরী, ভুগাই-কংস নদীগুলোর শেরপুর, ময়মনসিংহ ও নেত্রকোণা জেলা অংশে পানি সমতল সতর্কসীমায় প্রবাহিত হতে পারে এবং নদী সংলগ্ন নিম্নাঞ্চলগুলো সাময়িকভাবে প্লাবিত হতে পারে।
এছাড়া বরিশাল, খুলনা ও চট্টগ্রাম বিভাগের উপকূলীয় নদীগুলোয় স্বাভাবিকের থেকে উচ্চতর জোয়ার বিরাজমান রয়েছে। আগামী ২ দিন এমন জোয়ার অব্যাহত থাকতে পারে বলেও জানিয়েছে বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্র।