০৫:১১ অপরাহ্ন, বুধবার, ১২ মার্চ ২০২৫

দুদকের আবেদনে সাবেক ভূমিমন্ত্রীর ৩৯ ব্যাংক হিসাব অবরুদ্ধ

নিউজ ডেস্ক

সাবেক ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরীর ৩৯ ব্যাংক হিসাব অবরুদ্ধের আদেশ দিয়েছেন আদালত। এসব অ্যাকাউন্টে ৫ কোটি ২৬ লাখ ৮৩ হাজার ৮৫ টাকা রয়েছে। বুধবার (৫ মার্চ) দুদকের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকা সিনিয়র স্পেশাল জজ জাকির হোসেন গালিব এ আদেশ দেন।

দুদকের সহকারী পরিচালক আমিনুল ইসলাম বলেন, তার বিরুদ্ধে মানি লন্ডারিংয়ের অভিযোগ তদন্তাধীন রয়েছে। আজকে দুদক থেকে ৩৯টি ব্যাংক হিসাব অবরুদ্ধের আবেদনে করে। পরে আদালত আবেদন মঞ্জুর করে আদেশ দেন।

দুদক বলছে, সাইফুজ্জামান চৌধুরীর বিরুদ্ধে মানিলন্ডারিংয়ের অভিযোগ অনুসন্ধানের জন্য টিম গঠন করা হয়েছে। অনুসন্ধানকালে তিনি এসব অস্থাবর সম্পত্তি হস্তান্তর বা স্থানান্তর করতে পারে বলে জানা যায়।

এর আগে গত ১৭ অক্টোবর সাবেক ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী ও তার পরিবারের নামে থাকা দেশ-বিদেশের ৫৮০ বাড়ি/এপার্টমেন্ট/জমিসহ স্থাবর সম্পদ জব্দের আদেশ দিয়েছেন আদালত। এর মধ্যে যুক্তরাজ্যে ৩৪৩টি, সংযুক্ত আরব আমিরাতে ২২৮টি এবং যুক্তরাষ্ট্রে রয়েছে ৯টি। এছাড়া সংযুক্ত আরব আমিরাতের দুটি ব্যাংকের হিসাব ও বাংলাদেশের একটি ব্যাংকের হিসাব অবরুদ্ধের আদেশ দেওয়া হয়েছে।

এর আগে গত ৭ অক্টোবর সাবেক মন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী ও তার স্ত্রী রুকমীলা জামানের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা দেন আদালত।

এছাড়া আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পর সাইফুজ্জামান চৌধুরী ও তার স্ত্রী রুকমিলা জামানের নামে থাকা সব ধরনের ব্যাংক হিসাব জব্দের নির্দেশ দেয় বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইনটেলিজেন্স ইউনিট (বিএফআইইউ)। পরে মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ আইন, ২০১২-এর ২৩ (১) (গ) ধারা অনুযায়ী সাইফুজ্জামানের ভাই আনিসুজ্জামান চৌধুরী, আনিসুজ্জামান স্ত্রী ইমরানা জামান চৌধুরী ও মেয়ে আনিছা জামানের ব্যক্তিগত হিসাব ও তাদের ব্যক্তি মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠানের নামে পরিচালিত হিসাবের লেনদেন প্রথম দফায় ৩০ দিনের জন্য স্থগিত করার নির্দেশনা দেওয়া হয়।

২০১৩ উপ-নির্বাচনে চট্টগ্রাম-১২ আসন থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন তিনি। এরপর ২০১৪ সালের ১০ম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তিনি চট্টগ্রাম-১৩ আসন থেকে আবার নির্বাচিত হন। ২০১৪ সালের ১২ জানুয়ারি থেকে ২০১৯ সালের ৭ জানুয়ারি পর্যন্ত তিনি ভূমি মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। ২০১৮ সালের একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তিনি চট্টগ্রাম-১৩ আসন থেকে নির্বাচিত হন। পরে তিনি ২০১৯ সালের ৭ জানুয়ারি ভূমি মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পান। ২০২৪ সালের দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তিনি চট্টগ্রাম-১৩ আসন থেকে আবার নির্বাচিত হন।

Please Share This Post in Your Social Media

আপডেট: ০২:৩৮:৩১ অপরাহ্ন, বুধবার, ৫ মার্চ ২০২৫

দুদকের আবেদনে সাবেক ভূমিমন্ত্রীর ৩৯ ব্যাংক হিসাব অবরুদ্ধ

আপডেট: ০২:৩৮:৩১ অপরাহ্ন, বুধবার, ৫ মার্চ ২০২৫

সাবেক ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরীর ৩৯ ব্যাংক হিসাব অবরুদ্ধের আদেশ দিয়েছেন আদালত। এসব অ্যাকাউন্টে ৫ কোটি ২৬ লাখ ৮৩ হাজার ৮৫ টাকা রয়েছে। বুধবার (৫ মার্চ) দুদকের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকা সিনিয়র স্পেশাল জজ জাকির হোসেন গালিব এ আদেশ দেন।

দুদকের সহকারী পরিচালক আমিনুল ইসলাম বলেন, তার বিরুদ্ধে মানি লন্ডারিংয়ের অভিযোগ তদন্তাধীন রয়েছে। আজকে দুদক থেকে ৩৯টি ব্যাংক হিসাব অবরুদ্ধের আবেদনে করে। পরে আদালত আবেদন মঞ্জুর করে আদেশ দেন।

দুদক বলছে, সাইফুজ্জামান চৌধুরীর বিরুদ্ধে মানিলন্ডারিংয়ের অভিযোগ অনুসন্ধানের জন্য টিম গঠন করা হয়েছে। অনুসন্ধানকালে তিনি এসব অস্থাবর সম্পত্তি হস্তান্তর বা স্থানান্তর করতে পারে বলে জানা যায়।

এর আগে গত ১৭ অক্টোবর সাবেক ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী ও তার পরিবারের নামে থাকা দেশ-বিদেশের ৫৮০ বাড়ি/এপার্টমেন্ট/জমিসহ স্থাবর সম্পদ জব্দের আদেশ দিয়েছেন আদালত। এর মধ্যে যুক্তরাজ্যে ৩৪৩টি, সংযুক্ত আরব আমিরাতে ২২৮টি এবং যুক্তরাষ্ট্রে রয়েছে ৯টি। এছাড়া সংযুক্ত আরব আমিরাতের দুটি ব্যাংকের হিসাব ও বাংলাদেশের একটি ব্যাংকের হিসাব অবরুদ্ধের আদেশ দেওয়া হয়েছে।

এর আগে গত ৭ অক্টোবর সাবেক মন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী ও তার স্ত্রী রুকমীলা জামানের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা দেন আদালত।

এছাড়া আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পর সাইফুজ্জামান চৌধুরী ও তার স্ত্রী রুকমিলা জামানের নামে থাকা সব ধরনের ব্যাংক হিসাব জব্দের নির্দেশ দেয় বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইনটেলিজেন্স ইউনিট (বিএফআইইউ)। পরে মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ আইন, ২০১২-এর ২৩ (১) (গ) ধারা অনুযায়ী সাইফুজ্জামানের ভাই আনিসুজ্জামান চৌধুরী, আনিসুজ্জামান স্ত্রী ইমরানা জামান চৌধুরী ও মেয়ে আনিছা জামানের ব্যক্তিগত হিসাব ও তাদের ব্যক্তি মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠানের নামে পরিচালিত হিসাবের লেনদেন প্রথম দফায় ৩০ দিনের জন্য স্থগিত করার নির্দেশনা দেওয়া হয়।

২০১৩ উপ-নির্বাচনে চট্টগ্রাম-১২ আসন থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন তিনি। এরপর ২০১৪ সালের ১০ম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তিনি চট্টগ্রাম-১৩ আসন থেকে আবার নির্বাচিত হন। ২০১৪ সালের ১২ জানুয়ারি থেকে ২০১৯ সালের ৭ জানুয়ারি পর্যন্ত তিনি ভূমি মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। ২০১৮ সালের একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তিনি চট্টগ্রাম-১৩ আসন থেকে নির্বাচিত হন। পরে তিনি ২০১৯ সালের ৭ জানুয়ারি ভূমি মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পান। ২০২৪ সালের দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তিনি চট্টগ্রাম-১৩ আসন থেকে আবার নির্বাচিত হন।