সুন্দরী নারীরা রাস্তায় বের হতে পারবে না বিএনপি ক্ষমতায় গেলে : ফয়জুল করিম
বিএনপি যদি ক্ষমতায় যায় ঘুমাতে পারবেন না, ব্যবসা করতে পারবেন না, সুন্দরী নারীরা রাস্তায় বের হতে পারবে না। সচেতন হোন জনগণ। আর কত? আপনারা কি জুলুমকারী, অত্যাচারী ও চাঁদাবাজদের পরিবর্তন চান না? চাঁদাবাজদের এদেশ থেকে উচ্ছেদ করতে হাত পাখায় ভোট দিন। তাহলেই দেশে শান্তি ফিরে আসবে।
গতকাল রবিবার বিকেলে বরিশালের বাকেরগঞ্জ সরকারি কলেজ মাঠে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ আয়োজিত গণসমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি। ‘প্রয়োজনীয় রাষ্ট্র সংস্কার’, ‘জুলাই সনদ বাস্তবায়ন’ এবং ‘সংখ্যানুপাতিক (পিআর) পদ্ধতিতে জাতীয় নির্বাচন’-এর দাবিতে এ সমাবেশের আয়োজন করা হয়।
বিএনপি ও আওয়ামী লীগের রাজনীতি নিয়ে সমালোচনা করে ফয়জুল করিম বলেন, ‘যে চাঁদাবাজির জন্য মানুষ আওয়ামী লীগকে তাড়িয়েছিল, সেই চাঁদাবাজি এখনো আছে, বরং বেড়েছে। ধর্ষণও কমেনি, আগের চেয়ে বেড়েছে। যে দখলদারির অভিযোগে আওয়ামী লীগকে সরানো হয়েছিল, সেই দখলদারি এখনো চলছে।’
বক্তব্যের একপর্যায়ে তিনি আরো বলেন, ‘বর্তমান সরকারের সময়ে বিএনপি বিএনপির মধ্যে প্রকাশ্যে যত খুন হয়েছে, আওয়ামী লীগের আমলে এতটা হয়নি।
যারা এসব করছে, তারা যদি ক্ষমতায় আসে, খুন, ধর্ষণ ও চাঁদাবাজি আরো বাড়বে।’ অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়ে ইসলামী আন্দোলনের এই নেতা বলেন, ‘আপনারা যদি পিআর পদ্ধতি না মানেন, গণহত্যার বিচার না করেন, তবে জনগণের আস্থা পাবেন না। ভেবেছিলাম বৈষম্য দূর হবে, কিন্তু সংখ্যালঘুরা এখনো বঞ্চিত। ১৯৭১ থেকে ২০২৪ পর্যন্ত যারা এ দেশ শাসন করেছে, কেউই বৈষম্য ঘোচাতে পারেনি।
শুধু দল বা নেতার বদলে ভাগ্য বদলায় না।’ তিনি আরো বলেন, ‘চোর যদি এমপি হয়, সে কী করবে? এ দেশে মুসলিম লীগ, আওয়ামী লীগ, বিএনপি, সবাই শাসন করেছে। বহু নেতার রাজত্ব গেছে, কিন্তু মানুষের জীবনে শান্তি আসেনি।’
ইসলামী আন্দোলন উপজেলা পশ্চিম শাখার সভাপতি আলহাজ মাওলানা নাছির উদ্দিন রোকন ডাকুয়ার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত ওই সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন জাতীয় ওলামা মাশায়েখ আইম্মা পরিষদের কেন্দ্রীয় যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাওলানা আব্দুর রাজ্জাক, ঝালকাঠি-২ আসনের প্রার্থী ড. মাওলানা সিরাজুল ইসলাম সিরাজী, ইসলামী আন্দোলনের কেন্দ্রীয় শিল্প ও বাণিজ্য উপকমিটির সদস্য আলহাজ হারুন-অর-রশিদ, ইসলামী ছাত্র আন্দোলনের সাবেক সভাপতি মাওলানা নূরুল ইসলাম আল-আমিন চৌধুরী ও ইসলামী যুব আন্দোলনের কেন্দ্রীয় প্রকাশনা সম্পাদক মুহাম্মদ মাহবুব আলম প্রমুখ।























