০২:০৭ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৬ অক্টোবর ২০২৫

“বৈশ্বিক উদ্যোগের সাথে একাত্ম বাংলাদেশ: জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় দৃঢ় প্রতিশ্রুতি”

নিউজ ডেস্ক

নৌপরিবহন উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) ড. এম সাখাওয়াত হোসেন বলেছেন, জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলা ও পরিবেশবান্ধব শিপিং খাত গড়ে তুলতে বাংলাদেশ সর্বদা বৈশ্বিক প্রচেষ্টার সাথে একাত্ম।

সম্প্রতি ইন্টারন্যাশনাল মেরিটাইম অর্গানাইজেশনের (আইএমও) মহাসচিব আর্সেনিও ডোমিনগেজের সাথে বৈঠককালে তিনি এ বক্তব্য দেন। শনিবার নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি জানানো হয়।

নৌপরিবহন উপদেষ্টা ড. সাখাওয়াত হোসেন বলেন, জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলা ও পরিবেশবান্ধব শিপিং ব্যবস্থাপনায় বাংলাদেশ সবসময় বৈশ্বিক উদ্যোগের সাথে একাত্ম। তবে দেশের অর্থনীতি, বাণিজ্য ও জাহাজ পুনর্ব্যবহার খাতের ওপর সম্ভাব্য প্রভাব বিবেচনা করে বিস্তারিত মূল্যায়নের পর বাংলাদেশ এ বিষয়ে তার আনুষ্ঠানিক অবস্থান জানাবে।

নৌপরিবহন উপদেষ্টা বৈঠকে বাংলাদেশে টেকসই জাহাজ পুনর্ব্যবহার খাতে অর্জিত অগ্রগতি তুলে ধরেন।

তিনি বলেন, বাংলাদেশ ইতোমধ্যেই জাহাজ পুনর্ব্যবহারে পরিবেশবান্ধব প্রযুক্তি, শ্রমিক নিরাপত্তা এবং আন্তর্জাতিক মানদণ্ড পূরণের জন্য বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। এ ছাড়াও বাংলাদেশের মেরিন একাডেমিগুলোতে ক্যারিবিয়ান, আফ্রিকান ও এসআইডিএস অঞ্চলের শিক্ষার্থীদের স্কলারশিপ প্রদান করা হচ্ছে যা বৈশ্বিক মেরিটাইম সেক্টরে প্রশংসিত হয়েছে।

আইএমও মহাসচিব বলেন, ২০২৫ সালের এপ্রিলে আইএমও নেট জিরো ফ্রেমওয়ার্কের খসড়া আকারে প্রণয়ন করা হয়েছে। এই কাঠামো আন্তর্জাতিক নৌপরিবহন খাতে গ্রিনহাউস গ্যাস নিঃসরণ হ্রাস ও জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় একটি গুরুত্বপূর্ণ নীতি-নির্দেশিকা হিসেবে বিবেচিত হবে। খসড়াটি আসন্ন অক্টোবর মাসে অনুষ্ঠিতব্য মেরিন এনভায়রনমেন্ট প্রটেকশন কমিটির বিশেষ অধিবেশনে ভোটের মাধ্যমে অনুমোদিত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এ প্রসঙ্গে মহাসচিব বাংলাদেশ সরকারের সমর্থন কামনা করেন।

নৌপরিবহন উপদেষ্টা আসন্ন আইএমও কাউন্সিল নির্বাচনে ( ২০২৬-২০২৭) সি ক্যাটাগরিতে সদস্য পদে বাংলাদেশের প্রার্থিতার পক্ষে আইএমও এবং এর আওতাভুক্ত সদস্য রাষ্ট্রগুলোর সহযোগিতা ও সমর্থন কামনা করেন। আইএমও মহাসচিব বৈশ্বিক প্রেক্ষাপটে সামুদ্রিক চলাচলে বাংলাদেশ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে আসছে বলে উল্লেখ করেন।

জাহাজ পুনর্ব্যবহার খাতে বাংলাদেশকে সহায়তা দিতে আইএমও বিভিন্ন কারিগরি সহযোগিতা অব্যাহত রাখবে বলেও মহাসচিব আশ্বস্ত করেন।

বৈঠক শেষে উভয় পক্ষই ভবিষ্যতে পারস্পরিক সহযোগিতা ও সমন্বয় আরও জোরদার করার বিষয়ে আশাবাদ ব্যক্ত করেন।

Please Share This Post in Your Social Media

আপডেট: ০৮:১০:১০ অপরাহ্ন, শনিবার, ৪ অক্টোবর ২০২৫
৫৫

“বৈশ্বিক উদ্যোগের সাথে একাত্ম বাংলাদেশ: জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় দৃঢ় প্রতিশ্রুতি”

আপডেট: ০৮:১০:১০ অপরাহ্ন, শনিবার, ৪ অক্টোবর ২০২৫

নৌপরিবহন উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) ড. এম সাখাওয়াত হোসেন বলেছেন, জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলা ও পরিবেশবান্ধব শিপিং খাত গড়ে তুলতে বাংলাদেশ সর্বদা বৈশ্বিক প্রচেষ্টার সাথে একাত্ম।

সম্প্রতি ইন্টারন্যাশনাল মেরিটাইম অর্গানাইজেশনের (আইএমও) মহাসচিব আর্সেনিও ডোমিনগেজের সাথে বৈঠককালে তিনি এ বক্তব্য দেন। শনিবার নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি জানানো হয়।

নৌপরিবহন উপদেষ্টা ড. সাখাওয়াত হোসেন বলেন, জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলা ও পরিবেশবান্ধব শিপিং ব্যবস্থাপনায় বাংলাদেশ সবসময় বৈশ্বিক উদ্যোগের সাথে একাত্ম। তবে দেশের অর্থনীতি, বাণিজ্য ও জাহাজ পুনর্ব্যবহার খাতের ওপর সম্ভাব্য প্রভাব বিবেচনা করে বিস্তারিত মূল্যায়নের পর বাংলাদেশ এ বিষয়ে তার আনুষ্ঠানিক অবস্থান জানাবে।

নৌপরিবহন উপদেষ্টা বৈঠকে বাংলাদেশে টেকসই জাহাজ পুনর্ব্যবহার খাতে অর্জিত অগ্রগতি তুলে ধরেন।

তিনি বলেন, বাংলাদেশ ইতোমধ্যেই জাহাজ পুনর্ব্যবহারে পরিবেশবান্ধব প্রযুক্তি, শ্রমিক নিরাপত্তা এবং আন্তর্জাতিক মানদণ্ড পূরণের জন্য বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। এ ছাড়াও বাংলাদেশের মেরিন একাডেমিগুলোতে ক্যারিবিয়ান, আফ্রিকান ও এসআইডিএস অঞ্চলের শিক্ষার্থীদের স্কলারশিপ প্রদান করা হচ্ছে যা বৈশ্বিক মেরিটাইম সেক্টরে প্রশংসিত হয়েছে।

আইএমও মহাসচিব বলেন, ২০২৫ সালের এপ্রিলে আইএমও নেট জিরো ফ্রেমওয়ার্কের খসড়া আকারে প্রণয়ন করা হয়েছে। এই কাঠামো আন্তর্জাতিক নৌপরিবহন খাতে গ্রিনহাউস গ্যাস নিঃসরণ হ্রাস ও জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় একটি গুরুত্বপূর্ণ নীতি-নির্দেশিকা হিসেবে বিবেচিত হবে। খসড়াটি আসন্ন অক্টোবর মাসে অনুষ্ঠিতব্য মেরিন এনভায়রনমেন্ট প্রটেকশন কমিটির বিশেষ অধিবেশনে ভোটের মাধ্যমে অনুমোদিত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এ প্রসঙ্গে মহাসচিব বাংলাদেশ সরকারের সমর্থন কামনা করেন।

নৌপরিবহন উপদেষ্টা আসন্ন আইএমও কাউন্সিল নির্বাচনে ( ২০২৬-২০২৭) সি ক্যাটাগরিতে সদস্য পদে বাংলাদেশের প্রার্থিতার পক্ষে আইএমও এবং এর আওতাভুক্ত সদস্য রাষ্ট্রগুলোর সহযোগিতা ও সমর্থন কামনা করেন। আইএমও মহাসচিব বৈশ্বিক প্রেক্ষাপটে সামুদ্রিক চলাচলে বাংলাদেশ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে আসছে বলে উল্লেখ করেন।

জাহাজ পুনর্ব্যবহার খাতে বাংলাদেশকে সহায়তা দিতে আইএমও বিভিন্ন কারিগরি সহযোগিতা অব্যাহত রাখবে বলেও মহাসচিব আশ্বস্ত করেন।

বৈঠক শেষে উভয় পক্ষই ভবিষ্যতে পারস্পরিক সহযোগিতা ও সমন্বয় আরও জোরদার করার বিষয়ে আশাবাদ ব্যক্ত করেন।