০১:৫৩ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৪ নভেম্বর ২০২৫

বিচারকের ছেলে হত্যাকারী কে এই বিএনপি নেতার ছেলে লিমন

নিউজ ডেস্ক

রাজশাহীতে বিচারক মোহাম্মদ আবদুর রহমানের ছেলে তাওসিফ রহমান সুমনকে ছুরিকাঘাতে হত্যার অভিযোগে গ্রেফতার লিমন মিয়া (৩৫) গাইবান্ধার ফুলছড়ি উপজেলার কঞ্চিপাড়া এলাকার বাসিন্দা। তিনি স্থানীয় বিএনপি নেতা ও সাবেক ইউপি সদস্য এইচএম ছোলায়মান হোসেন শহীদের ছেলে। শহীদ মিয়া ফুলছড়ি উপজেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছেন। সেনাবাহিনীর সাবেক সদস্য লিমন পরে স্থানীয়ভাবে বালু–শেয়ার ব্যবসায় যুক্ত ছিলেন।

পরিবারের দাবি, লিমন দীর্ঘদিন ধরে চোখের সমস্যায় ভুগছিলেন। চিকিৎসার জন্য এক মাস আগে ঢাকায় যান। তবে ঢাকায় যাওয়ার পর থেকে পরিবারের সঙ্গে তার যোগাযোগ ছিল না। রাজশাহীতে কেন গিয়েছিলেন কিংবা বিচারকের পরিবারের সঙ্গে তার সম্পর্ক—এসব বিষয়ে পরিবারের কেউ কিছু জানেন না।

লিমনের বাবা শহীদ মিয়া বলেন, ‘চাকরি ছাড়ার পর থেকেই ছেলের সঙ্গে দূরত্ব তৈরি হয়। এলাকায় ব্যবসা করত, রাজনীতিতে সক্রিয় ছিল না। এক মাস আগে চোখ দেখানোর কথা বলে ঢাকায় যায়, তারপর আর খোঁজ পাইনি। যদি ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকে, আইন অনুযায়ী বিচার হোক।’

বিচারকের পারিবারিক সূত্রের তথ্য, বিচারকের স্ত্রী তাসমিন নাহারের বাবার বাড়ি গাইবান্ধা শহরের এটেস্ট্রেটপাড়ায়। একই জেলার হওয়ায় তাসমিন নাহার ও লিমনের পরিচয় ও যোগাযোগ গড়ে ওঠে। লিমন প্রায়ই তার কাছে আর্থিক সহযোগিতা চাইতেন। সহযোগিতা না পেয়ে ক্ষুব্ধ হয়ে কয়েকবার হুমকিও দিয়েছেন। সর্বশেষ ৩ নভেম্বর সকালে তাসমিন নাহারের মেয়ের ফেসবুক মেসেঞ্জারে কল করে তিনি পুরো পরিবারকে হত্যার হুমকি দেন।

বৃহস্পতিবার (১৩ নভেম্বর) ডাবতলায় বিচারকের ভাড়া বাসায় ঢুকে লিমন তাওসিফকে হত্যার পাশাপাশি তাসমিন নাহারকেও গুরুতর আহত করেন। পুলিশ ড্রাইভিং লাইসেন্স দেখে লিমনের পরিচয় শনাক্ত করে। ব্যক্তিগত দ্বন্দ্ব বা আর্থিক লেনদেনের কারণে এ ঘটনা ঘটতে পারে বলে পুলিশের ধারণা।

এর আগে সিলেটের জালালাবাদ থানায় তাসমিন নাহার লিমনের বিরুদ্ধে হুমকির অভিযোগে একটি জিডি করেছিলেন।

Please Share This Post in Your Social Media

আপডেট: ১১:০৮:৫৩ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১৪ নভেম্বর ২০২৫
২২

বিচারকের ছেলে হত্যাকারী কে এই বিএনপি নেতার ছেলে লিমন

আপডেট: ১১:০৮:৫৩ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১৪ নভেম্বর ২০২৫

রাজশাহীতে বিচারক মোহাম্মদ আবদুর রহমানের ছেলে তাওসিফ রহমান সুমনকে ছুরিকাঘাতে হত্যার অভিযোগে গ্রেফতার লিমন মিয়া (৩৫) গাইবান্ধার ফুলছড়ি উপজেলার কঞ্চিপাড়া এলাকার বাসিন্দা। তিনি স্থানীয় বিএনপি নেতা ও সাবেক ইউপি সদস্য এইচএম ছোলায়মান হোসেন শহীদের ছেলে। শহীদ মিয়া ফুলছড়ি উপজেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছেন। সেনাবাহিনীর সাবেক সদস্য লিমন পরে স্থানীয়ভাবে বালু–শেয়ার ব্যবসায় যুক্ত ছিলেন।

পরিবারের দাবি, লিমন দীর্ঘদিন ধরে চোখের সমস্যায় ভুগছিলেন। চিকিৎসার জন্য এক মাস আগে ঢাকায় যান। তবে ঢাকায় যাওয়ার পর থেকে পরিবারের সঙ্গে তার যোগাযোগ ছিল না। রাজশাহীতে কেন গিয়েছিলেন কিংবা বিচারকের পরিবারের সঙ্গে তার সম্পর্ক—এসব বিষয়ে পরিবারের কেউ কিছু জানেন না।

লিমনের বাবা শহীদ মিয়া বলেন, ‘চাকরি ছাড়ার পর থেকেই ছেলের সঙ্গে দূরত্ব তৈরি হয়। এলাকায় ব্যবসা করত, রাজনীতিতে সক্রিয় ছিল না। এক মাস আগে চোখ দেখানোর কথা বলে ঢাকায় যায়, তারপর আর খোঁজ পাইনি। যদি ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকে, আইন অনুযায়ী বিচার হোক।’

বিচারকের পারিবারিক সূত্রের তথ্য, বিচারকের স্ত্রী তাসমিন নাহারের বাবার বাড়ি গাইবান্ধা শহরের এটেস্ট্রেটপাড়ায়। একই জেলার হওয়ায় তাসমিন নাহার ও লিমনের পরিচয় ও যোগাযোগ গড়ে ওঠে। লিমন প্রায়ই তার কাছে আর্থিক সহযোগিতা চাইতেন। সহযোগিতা না পেয়ে ক্ষুব্ধ হয়ে কয়েকবার হুমকিও দিয়েছেন। সর্বশেষ ৩ নভেম্বর সকালে তাসমিন নাহারের মেয়ের ফেসবুক মেসেঞ্জারে কল করে তিনি পুরো পরিবারকে হত্যার হুমকি দেন।

বৃহস্পতিবার (১৩ নভেম্বর) ডাবতলায় বিচারকের ভাড়া বাসায় ঢুকে লিমন তাওসিফকে হত্যার পাশাপাশি তাসমিন নাহারকেও গুরুতর আহত করেন। পুলিশ ড্রাইভিং লাইসেন্স দেখে লিমনের পরিচয় শনাক্ত করে। ব্যক্তিগত দ্বন্দ্ব বা আর্থিক লেনদেনের কারণে এ ঘটনা ঘটতে পারে বলে পুলিশের ধারণা।

এর আগে সিলেটের জালালাবাদ থানায় তাসমিন নাহার লিমনের বিরুদ্ধে হুমকির অভিযোগে একটি জিডি করেছিলেন।