০৭:০৯ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৩ অক্টোবর ২০২৫

গণহত্যায় জড়িত শেখ হাসিনার বিচার না হলে জুলাই শহীদদের ওপর অবিচার করা হবে

নিউজ ডেস্ক

আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল‑১‑এ বৃহস্পতিবার (২৩ অক্টোবর) মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় শেখ হাসিনাসহ তিন আসামির বিরুদ্ধে প্রসিকিউশন সর্বশেষ দিনের যুক্তিতর্ক উপস্থাপন করার সময়ে অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান সতর্ক করে বলেছেন, যদি ক্ষমতাধরদের বিরুদ্ধে যথাযথ বিচার না করা হয় তাহলে জুলাই আন্দোলনে শহীদ ও আহতরা ওপর ইতিহাসিকভাবে অবিচার ঘটবে।

অ্যাটর্নি জেনারেল বলেন, “আমি বিশ্বাস করেছিলাম, শেখ হাসিনা ন্যায়বিচারের মুখোমুখি হবেন। কারণ তিনি অন্যের উদ্দেশে বলেছিলেন, সাহস থাকলে বিচারের মুখোমুখি হোন। কিন্তু তিনি এই কথা মন থেকে বলেননি; বললে আজ দেশের মাটিতে এসে বিচারের মুখোমুখি হতেন।”

তিনি আরও বলেন, “এই আসামিদের শাস্তি নিশ্চিত করতে না পারলে বাংলাদেশের আরও অগণিত মানুষের জীবন বিপন্ন হবে। ন্যায়বিচার নিশ্চিত করা না হলে বাংলাদেশের মানুষ ইতিহাসের আস্তাকুঁড়ে ভীরু‑কাপুরুষ হয়ে থাকবে। আমি তাদের সর্বোচ্চ শাস্তি প্রত্যাশা করছি।”

এ মন্তব্যের পর ট্রাইব্যুনালকেও বলতে শোনা যায় যে ন্যায়বিচার নিশ্চিত হবে এবং দুই পক্ষই (প্রসিকিউশন ও ডিফেন্স) যেকোনো মূল্যে ন্যায়বিচার পাবে বলে আশ্বাস দেয়া হয়।

এই মুহূর্তে প্রসিকিউশনই সর্বশেষ দিনের যুক্তিতর্ক তুলে ধরছে; এরপর ট্রাইব্যুনাল রায়ের জন্য দিন ধার্য করবেন।

বিচারের প্রক্রিয়া‑সংক্রান্ত আগে‑পরে: গত সাক্ষ্যগ্রহণে জুলাই আন্দোলনের ঘটনাবলীতে শহীদের পরিবারের সদস্য, আহত এবং চিকিৎসকসহ মোট ৫৪ জন সাক্ষ্য দিয়েছেন। সাক্ষ্যগুলোর মাধ্যমে উঠে এসেছে—জুলাই গণহত্যা, নৃশংসতা এবং ক্ষমতাসীন শাসনের আমলে গুম‑খুন ও নির্যাতনের অভিযোগসমূহ। উল্লেখ্য, রাজসাক্ষী হিসেবে পুলিশসেবী আইজিপি (অব.) চৌধুরী আবদুল্লাহ আল মামুনও সাক্ষ্য দিয়েছেন; তিনি ঘটনার পেছনের নির্দেশদাতা ও বাস্তবায়নের নামও তুলে ধরেছেন।

Please Share This Post in Your Social Media

আপডেট: ০১:১৪:০৪ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৩ অক্টোবর ২০২৫
২৯

গণহত্যায় জড়িত শেখ হাসিনার বিচার না হলে জুলাই শহীদদের ওপর অবিচার করা হবে

আপডেট: ০১:১৪:০৪ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৩ অক্টোবর ২০২৫

আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল‑১‑এ বৃহস্পতিবার (২৩ অক্টোবর) মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় শেখ হাসিনাসহ তিন আসামির বিরুদ্ধে প্রসিকিউশন সর্বশেষ দিনের যুক্তিতর্ক উপস্থাপন করার সময়ে অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান সতর্ক করে বলেছেন, যদি ক্ষমতাধরদের বিরুদ্ধে যথাযথ বিচার না করা হয় তাহলে জুলাই আন্দোলনে শহীদ ও আহতরা ওপর ইতিহাসিকভাবে অবিচার ঘটবে।

অ্যাটর্নি জেনারেল বলেন, “আমি বিশ্বাস করেছিলাম, শেখ হাসিনা ন্যায়বিচারের মুখোমুখি হবেন। কারণ তিনি অন্যের উদ্দেশে বলেছিলেন, সাহস থাকলে বিচারের মুখোমুখি হোন। কিন্তু তিনি এই কথা মন থেকে বলেননি; বললে আজ দেশের মাটিতে এসে বিচারের মুখোমুখি হতেন।”

তিনি আরও বলেন, “এই আসামিদের শাস্তি নিশ্চিত করতে না পারলে বাংলাদেশের আরও অগণিত মানুষের জীবন বিপন্ন হবে। ন্যায়বিচার নিশ্চিত করা না হলে বাংলাদেশের মানুষ ইতিহাসের আস্তাকুঁড়ে ভীরু‑কাপুরুষ হয়ে থাকবে। আমি তাদের সর্বোচ্চ শাস্তি প্রত্যাশা করছি।”

এ মন্তব্যের পর ট্রাইব্যুনালকেও বলতে শোনা যায় যে ন্যায়বিচার নিশ্চিত হবে এবং দুই পক্ষই (প্রসিকিউশন ও ডিফেন্স) যেকোনো মূল্যে ন্যায়বিচার পাবে বলে আশ্বাস দেয়া হয়।

এই মুহূর্তে প্রসিকিউশনই সর্বশেষ দিনের যুক্তিতর্ক তুলে ধরছে; এরপর ট্রাইব্যুনাল রায়ের জন্য দিন ধার্য করবেন।

বিচারের প্রক্রিয়া‑সংক্রান্ত আগে‑পরে: গত সাক্ষ্যগ্রহণে জুলাই আন্দোলনের ঘটনাবলীতে শহীদের পরিবারের সদস্য, আহত এবং চিকিৎসকসহ মোট ৫৪ জন সাক্ষ্য দিয়েছেন। সাক্ষ্যগুলোর মাধ্যমে উঠে এসেছে—জুলাই গণহত্যা, নৃশংসতা এবং ক্ষমতাসীন শাসনের আমলে গুম‑খুন ও নির্যাতনের অভিযোগসমূহ। উল্লেখ্য, রাজসাক্ষী হিসেবে পুলিশসেবী আইজিপি (অব.) চৌধুরী আবদুল্লাহ আল মামুনও সাক্ষ্য দিয়েছেন; তিনি ঘটনার পেছনের নির্দেশদাতা ও বাস্তবায়নের নামও তুলে ধরেছেন।