বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান দীর্ঘ নিপীড়ন ও নির্বাসিত জীবন শেষে সবার মাঝে ফিরে এসেছেন বলে জানিয়েছেন দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
বৃহস্পতিবার (২৫ ডিসেম্বর) বিকেল ৪টার দিকে রাজধানীর পূর্বাচলের ৩৬ জুলাই এক্সপ্রেসওয়ে (৩০০ ফিট) এলাকায় তারেক রহমানের সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে এই কথা জানান তিনি।
মির্জা ফখরুল বলেন, বাংলাদেশের মানুষের পক্ষ থেকে তাকে স্বাগত জানাচ্ছি। দীর্ঘ ১৭ বছর ফ্যাসিস্ট অত্যাচার ও নির্যাতনের বিরুদ্ধে তারেক রহমান দূর থেকে নেতৃত্ব দিয়েছেন এবং গণতন্ত্রের লড়াইকে সামনের দিকে এগিয়ে নিয়েছেন।
তিনি আরও বলেন, ‘অবশেষে চব্বিশের ৫ আগস্টের ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের মাধ্যমে ফ্যাসিস্টকে বিতাড়িত করা সম্ভব হয়েছে। দীর্ঘ নিপীড়ন ও নির্বাসিত জীবন শেষে আমাদের মাঝে ফিরে এসেছেন তারেক রহমান। এই গণতন্ত্র উত্তরণে সবচেয়ে কঠিন পথ আমরা তার নেতৃত্বে পাড়ি দিয়েছি। এটা আমাদের জন্য অত্যন্ত আনন্দের।’
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘তারেক রহমানের নেতৃত্বে আমরা আশা করি আগামী ১২ ফেব্রুয়ারি নির্বাচনে জয়ী হয়ে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করতে পারব, আইনের শাসন নিশ্চিত করতে পারব এবং তার ৩১ দফা বাস্তবায়ন করতে পারব।’
উল্লেখ্য, তারেক রহমানকে বহনকারী বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের ফ্লাইট স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার সকাল ৯টা ৫৮ মিনিটে সিলেট ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করে। এক ঘণ্টার বিরতির পর ফ্লাইটটি বেলা ১১টা ১০ মিনিটে ঢাকার উদ্দেশে যাত্রা শুরু করে এবং ১১টা ৪০ মিনিটে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করে। এ সময় বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ও স্থায়ী কমিটির সদস্যরা তাকে স্বাগত জানান।
বিমানবন্দর থেকে বের হয়ে তারেক রহমান জুতা খুলে শিশিরভেজা ঘাস ও মাটিতে পা রাখেন এবং এক মুঠো মাটিও হাতে নেন। এরপর তিনি বাসে চড়ে রাজধানীর পূর্বাচলের ৩৬ জুলাই এক্সপ্রেসওয়েতে সংবর্ধনাস্থলে পৌঁছান। পথে নেতাকর্মী ও সমর্থকরা দুই পাশে দাঁড়িয়ে তাকে অভিবাদন জানান। সংবর্ধনাস্থলে পৌঁছাতে সময় লেগেছে প্রায় সাড়ে তিন ঘণ্টা।
এর মাধ্যমে দীর্ঘ ১৭ বছর পর প্রিয় মাতৃভূমিতে ফিরলেন তারেক রহমান। তিনি ২০০৭ সালের জানুয়ারিতে সেনা-সমর্থিত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময় দুর্নীতির অভিযোগে আটক হয়ে প্রায় ১৮ মাস কারাবন্দি ছিলেন। মুক্তি পাওয়ার পর চিকিৎসার জন্য ২০০৮ সালে সপরিবারে লন্ডনে চলে যান এবং দেশ ফিরে আসার পথ অনেক বছর বন্ধ ছিল। অবশেষে দীর্ঘ সেই অপেক্ষার অবসান ঘটল।

✍️ মন্তব্য লিখুন