০২:২৭ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৪ অক্টোবর ২০২৫

অভিষেক শর্মা ,এশিয়া কাপ ফাইনালে যত রেকর্ড ভাঙতে পারেন 

ডেস্ক নিউজ
                       
 অভিষেক শর্মা ভারতীয় ওপেনার , ছবি সংগ্রহ

অভিষেক শর্মা এখন বোলারদের আতঙ্কের নাম। দুবাইয়ে আজ রাতে এশিয়া কাপের ফাইনালে ও পাকিস্তানের মাথাব্যথার কারণ হতে পারেন ভারতের এই ওপেনার। কয়েক ওভার টিকে গেলে একাই ম্যাচের ভাগ্যও গড়ে দিতে পারেন।

টুর্নামেন্টে এখন পর্যন্ত ৫১.৫০ গড় ও ২০৯.৬৩ স্ট্রাইক রেটে ৩০৯ রান করেছেন অভিষেক, যা এশিয়া কাপ টি-টোয়েন্টির এক আসরে সর্বোচ্চ। টুর্নামেন্টে তিনি বাউন্ডারি মেরেছেন ৫০টি (৩১ চার, ১৯ ছক্কা) আর সিঙ্গেল নিয়েছেন ৪৫টি। মানে, এক রানের চেয়ে চার-ছক্কাই বেশি! এতেই বোঝা যায়, কতটা দুর্দান্ত ছন্দে আছেন।

আইসিসি টি-টোয়েন্টি র‍্যাঙ্কিংয়ের শীর্ষ এই ব্যাটসম্যানকে আজ কয়েকটি রেকর্ডও হাতছানি দিয়ে ডাকছে। কী কী রেকর্ড, দেখে নেওয়া যাক—

➠ ১৩৫, ৩০, ৩১, ৩৮, ৭৪, ৭৫, ৬১—আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে টানা সাতটি ৩০ ছোঁয়া ইনিংস খেলেছেন অভিষেক। টানা সাতটি ৩০ ছোঁয়া ইনিংস আর দুজনের আছে—ভারতের রোহিত শর্মা (নভেম্বর ২০২১ থেকে ফেব্রুয়ারি ২০২২) ও পাকিস্তানের মোহাম্মদ রিজওয়ান (এপ্রিল ২০২১ থেকে অক্টোবর ২০২১)। আজ আরেকটি ৩০ ছোঁয়া ইনিংস খেলতে পারলেই রোহিত ও রিজওয়ানকে ছাড়িয়ে যাবেন অভিষেক।

➠ আজ ১১ রান করতে পারলেই টি-টোয়েন্টি সিরিজ বা টুর্নামেন্টে ভারতের সর্বোচ্চ রানসংগ্রাহক হবেন অভিষেক। বর্তমানে রেকর্ডটা বিরাট কোহলির; ২০১৪ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে কোহলি করেছিলেন ৩১৯ রান।

➠ ২৩ রান করতে পারলে টেস্ট খেলুড়ে দেশের ব্যাটসম্যানদের মধ্যে এক টি-টোয়েন্টি সিরিজ বা টুর্নামেন্টে সর্বোচ্চ রানসংগ্রাহক হবে অভিষেক। বর্তমানে রেকর্ডটা ইংল্যান্ডের ফিল সল্টের; ২০২৩ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে পাঁচ ম্যাচের সিরিজে ৮২.৭৫ গড়ে, ২ সেঞ্চুরিতে ৩৩১ রান করেছিলেন সল্ট।

➠ এশিয়া কাপের এক আসরে (ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি মিলিয়ে) সর্বোচ্চ রানের মালিকও হয়ে যেতে পারেন অভিষেক। সে ক্ষেত্রে তাঁকে করতে হবে ৭০ রান। বর্তমানে রেকর্ডটা শ্রীলঙ্কার প্রধান কোচ সনাৎ জয়াসুরিয়ার; ২০০৮ এশিয়া কাপে (ওয়ানডে সংস্করণ) ৩৭৮ রান করেছিলেন তিনি।

এশিয়া কাপে অভিষেকের শর্মার সিঙ্গেলের চেয়ে বাউন্ডারির সংখ্যা বেশি

➠ এশিয়া কাপের এক আসরে (ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি মিলিয়ে) সবচেয়ে বেশি বাউন্ডারির রেকর্ডও আজ নিজের করে নিতে পারেন অভিষেক। সে জন্য দরকার আরও ১০টি চার অথবা ছক্কা। বর্তমানে রেকর্ডটা ভারতের সাবেক ওপেনার বীরেন্দর শেবাগের; ২০০৮ এশিয়া কাপে (ওয়ানডে সংস্করণ) শেবাগ ৪৯টি চার ও ১০টি ছক্কা মেরেছিলেন।

তবে অতীত কিন্তু অভিষেকের বিরুদ্ধে কথা বলছে। ফাইনালে তাঁর ব্যাটিং পারফরম্যান্স মোটেও ভালো নয়।

শীর্ষ পর্যায়ের ক্রিকেটে এখন পর্যন্ত দুটি ফাইনাল খেলেছেন অভিষেক। ২০২৩ সালে সৈয়দ মুশতাক আলী ট্রফির ফাইনালে রাজ্য দল পাঞ্জাবের হয়ে বরোদার বিপক্ষে ইনিংস শুরু করতে নেমে মারেন ‘গোল্ডেন ডাক’।

আর গত বছর আইপিএল ফাইনালে সানরাইজার্স হায়দরাবাদের হয়ে কলকাতা নাইট রাইডার্সের বিপক্ষে ৫ বলে করেন ২ রান। ম্যাচের প্রথম ওভারেই মিচেল স্টার্কের বলে বোল্ড হন।

Please Share This Post in Your Social Media

আপডেট: ০৭:১২:২৬ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫
২৮

অভিষেক শর্মা ,এশিয়া কাপ ফাইনালে যত রেকর্ড ভাঙতে পারেন 

আপডেট: ০৭:১২:২৬ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫
                       
 অভিষেক শর্মা ভারতীয় ওপেনার , ছবি সংগ্রহ

অভিষেক শর্মা এখন বোলারদের আতঙ্কের নাম। দুবাইয়ে আজ রাতে এশিয়া কাপের ফাইনালে ও পাকিস্তানের মাথাব্যথার কারণ হতে পারেন ভারতের এই ওপেনার। কয়েক ওভার টিকে গেলে একাই ম্যাচের ভাগ্যও গড়ে দিতে পারেন।

টুর্নামেন্টে এখন পর্যন্ত ৫১.৫০ গড় ও ২০৯.৬৩ স্ট্রাইক রেটে ৩০৯ রান করেছেন অভিষেক, যা এশিয়া কাপ টি-টোয়েন্টির এক আসরে সর্বোচ্চ। টুর্নামেন্টে তিনি বাউন্ডারি মেরেছেন ৫০টি (৩১ চার, ১৯ ছক্কা) আর সিঙ্গেল নিয়েছেন ৪৫টি। মানে, এক রানের চেয়ে চার-ছক্কাই বেশি! এতেই বোঝা যায়, কতটা দুর্দান্ত ছন্দে আছেন।

আইসিসি টি-টোয়েন্টি র‍্যাঙ্কিংয়ের শীর্ষ এই ব্যাটসম্যানকে আজ কয়েকটি রেকর্ডও হাতছানি দিয়ে ডাকছে। কী কী রেকর্ড, দেখে নেওয়া যাক—

➠ ১৩৫, ৩০, ৩১, ৩৮, ৭৪, ৭৫, ৬১—আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে টানা সাতটি ৩০ ছোঁয়া ইনিংস খেলেছেন অভিষেক। টানা সাতটি ৩০ ছোঁয়া ইনিংস আর দুজনের আছে—ভারতের রোহিত শর্মা (নভেম্বর ২০২১ থেকে ফেব্রুয়ারি ২০২২) ও পাকিস্তানের মোহাম্মদ রিজওয়ান (এপ্রিল ২০২১ থেকে অক্টোবর ২০২১)। আজ আরেকটি ৩০ ছোঁয়া ইনিংস খেলতে পারলেই রোহিত ও রিজওয়ানকে ছাড়িয়ে যাবেন অভিষেক।

➠ আজ ১১ রান করতে পারলেই টি-টোয়েন্টি সিরিজ বা টুর্নামেন্টে ভারতের সর্বোচ্চ রানসংগ্রাহক হবেন অভিষেক। বর্তমানে রেকর্ডটা বিরাট কোহলির; ২০১৪ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে কোহলি করেছিলেন ৩১৯ রান।

➠ ২৩ রান করতে পারলে টেস্ট খেলুড়ে দেশের ব্যাটসম্যানদের মধ্যে এক টি-টোয়েন্টি সিরিজ বা টুর্নামেন্টে সর্বোচ্চ রানসংগ্রাহক হবে অভিষেক। বর্তমানে রেকর্ডটা ইংল্যান্ডের ফিল সল্টের; ২০২৩ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে পাঁচ ম্যাচের সিরিজে ৮২.৭৫ গড়ে, ২ সেঞ্চুরিতে ৩৩১ রান করেছিলেন সল্ট।

➠ এশিয়া কাপের এক আসরে (ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি মিলিয়ে) সর্বোচ্চ রানের মালিকও হয়ে যেতে পারেন অভিষেক। সে ক্ষেত্রে তাঁকে করতে হবে ৭০ রান। বর্তমানে রেকর্ডটা শ্রীলঙ্কার প্রধান কোচ সনাৎ জয়াসুরিয়ার; ২০০৮ এশিয়া কাপে (ওয়ানডে সংস্করণ) ৩৭৮ রান করেছিলেন তিনি।

এশিয়া কাপে অভিষেকের শর্মার সিঙ্গেলের চেয়ে বাউন্ডারির সংখ্যা বেশি

➠ এশিয়া কাপের এক আসরে (ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি মিলিয়ে) সবচেয়ে বেশি বাউন্ডারির রেকর্ডও আজ নিজের করে নিতে পারেন অভিষেক। সে জন্য দরকার আরও ১০টি চার অথবা ছক্কা। বর্তমানে রেকর্ডটা ভারতের সাবেক ওপেনার বীরেন্দর শেবাগের; ২০০৮ এশিয়া কাপে (ওয়ানডে সংস্করণ) শেবাগ ৪৯টি চার ও ১০টি ছক্কা মেরেছিলেন।

তবে অতীত কিন্তু অভিষেকের বিরুদ্ধে কথা বলছে। ফাইনালে তাঁর ব্যাটিং পারফরম্যান্স মোটেও ভালো নয়।

শীর্ষ পর্যায়ের ক্রিকেটে এখন পর্যন্ত দুটি ফাইনাল খেলেছেন অভিষেক। ২০২৩ সালে সৈয়দ মুশতাক আলী ট্রফির ফাইনালে রাজ্য দল পাঞ্জাবের হয়ে বরোদার বিপক্ষে ইনিংস শুরু করতে নেমে মারেন ‘গোল্ডেন ডাক’।

আর গত বছর আইপিএল ফাইনালে সানরাইজার্স হায়দরাবাদের হয়ে কলকাতা নাইট রাইডার্সের বিপক্ষে ৫ বলে করেন ২ রান। ম্যাচের প্রথম ওভারেই মিচেল স্টার্কের বলে বোল্ড হন।