০২:১২ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৬ অক্টোবর ২০২৫

“জীবনের শেষ সুযোগ হিসেবে জাতিকে একটি নিরপেক্ষ ও সুন্দর নির্বাচন উপহার দিতে চাই।”

ডেস্ক নিউজ

প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দিন জানিয়েছেন, এবারের জাতীয় নির্বাচনকে তিনি জীবনের শেষ সুযোগ হিসেবে দেখছেন। সেই সঙ্গে জাতিকে একটি সুষ্ঠু ও সুন্দর নির্বাচন উপহার দেওয়ার প্রত্যয় ব্যক্ত করেছেন তিনি।

মঙ্গলবার (৭ অক্টোবর) রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনের সম্মেলন কক্ষে নির্বাচন বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে ধারাবাহিক সংলাপে অংশ নিয়ে এ কথা বলেন সিইসি। সংলাপে অন্য চার নির্বাচন কমিশনারসহ ইসির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

সিইসি বলেন, “দেশের জন্য কিছু করার এটাই আমার শেষ সুযোগ। এবারের নির্বাচনকে জীবনের শেষ সুযোগ হিসেবে নিয়েছি। জাতিকে একটি সুষ্ঠু ও সুন্দর নির্বাচন উপহার দিতে চাই। এজন্য রাজনৈতিক দলগুলোর সহযোগিতা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।”

তিনি আরও বলেন, “আজ আমরা শুনব, যারা নির্বাচন নিয়ে সরাসরি কাজ করেছেন তাদের মতামত। আপনারা জানেন নির্বাচনে কোথায় সমস্যা হয়, কোথায় ঘাটতি রয়েছে। আপনাদের সুচিন্তিত মতামত বিবেচনায় নিয়ে আমরা সামনের পথে এগিয়ে যেতে চাই।”

নাসির উদ্দিন জানান, এবার প্রবাসী ভোটারদের ভোটাধিকার নিশ্চিত করতে উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। পাশাপাশি সরকারি চাকরিজীবী ও হাজতিদের জন্যও পোস্টাল ব্যালটে ভোটগ্রহণের প্রস্তুতি চলছে।

সিইসি বলেন, আমরা আইটি সাপোর্টেড পোস্টাল ব্যালটের একটি হাইব্রিড পদ্ধতি তৈরি করেছি। এতে প্রবাসী, সরকারি চাকরিজীবী ও কয়েদিরাও ভোট দিতে পারবেন।

তিনি আরও জানান, ভোটার তালিকা হালনাগাদে জনগণের অংশগ্রহণ বেড়েছে এবং নারী-পুরুষ ভোটার পার্থক্যও উল্লেখযোগ্যভাবে কমে এসেছে।

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ও কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার (এআই) অপব্যবহার নিয়ে উদ্বেগ জানিয়ে সিইসি বলেন, এবিউজ অব এআই, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমসহ নিত্য নতুন চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতে হচ্ছে। একটা বিশেষ পরিস্থিতিতে ক্রান্তিলগ্নে আমরা দায়িত্ব নিয়েছি। আমার বয়স ৭৩ বছর। জীবনে এটা শেষ সুযোগ হিসেবে নিয়েছি। একটি সুন্দর, সুষ্ঠু নির্বাচন উপহার দেয়াই লক্ষ্য।

সংলাপে আরও উপস্থিত ছিলেন- ইসির সাবেক সচিব (ভারপ্রাপ্ত) ড. মোহাম্মদ জকরিয়া, নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের সাবেক যুগ্মসচিব খন্দকার মিজানুর রহমান, নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের সাবেক যুগ্মসচিব মো. নূরুজ্জামান তালুকদার, নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের সাবেক উপসচিব মিহির সরওয়ার মোর্শেদ, সাবেক আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা (ঢাকা) শাহ আলম, নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের সাবেক যুগ্মসচিব মো. শাহেদুন্নবী চৌধুরী, সাবেক আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা মাহফুজা আক্তার, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক অধ্যাপক ও ফেমার প্রেসিডেন্ট মুনিরা খান, নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের সাবেক উপসচিব মিছবাহ উদ্দিন, সাবেক আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা মীর মো. শাহজাহান।

Please Share This Post in Your Social Media

আপডেট: ০১:৪৩:০৮ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৭ অক্টোবর ২০২৫
৪১

“জীবনের শেষ সুযোগ হিসেবে জাতিকে একটি নিরপেক্ষ ও সুন্দর নির্বাচন উপহার দিতে চাই।”

আপডেট: ০১:৪৩:০৮ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৭ অক্টোবর ২০২৫

প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দিন জানিয়েছেন, এবারের জাতীয় নির্বাচনকে তিনি জীবনের শেষ সুযোগ হিসেবে দেখছেন। সেই সঙ্গে জাতিকে একটি সুষ্ঠু ও সুন্দর নির্বাচন উপহার দেওয়ার প্রত্যয় ব্যক্ত করেছেন তিনি।

মঙ্গলবার (৭ অক্টোবর) রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনের সম্মেলন কক্ষে নির্বাচন বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে ধারাবাহিক সংলাপে অংশ নিয়ে এ কথা বলেন সিইসি। সংলাপে অন্য চার নির্বাচন কমিশনারসহ ইসির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

সিইসি বলেন, “দেশের জন্য কিছু করার এটাই আমার শেষ সুযোগ। এবারের নির্বাচনকে জীবনের শেষ সুযোগ হিসেবে নিয়েছি। জাতিকে একটি সুষ্ঠু ও সুন্দর নির্বাচন উপহার দিতে চাই। এজন্য রাজনৈতিক দলগুলোর সহযোগিতা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।”

তিনি আরও বলেন, “আজ আমরা শুনব, যারা নির্বাচন নিয়ে সরাসরি কাজ করেছেন তাদের মতামত। আপনারা জানেন নির্বাচনে কোথায় সমস্যা হয়, কোথায় ঘাটতি রয়েছে। আপনাদের সুচিন্তিত মতামত বিবেচনায় নিয়ে আমরা সামনের পথে এগিয়ে যেতে চাই।”

নাসির উদ্দিন জানান, এবার প্রবাসী ভোটারদের ভোটাধিকার নিশ্চিত করতে উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। পাশাপাশি সরকারি চাকরিজীবী ও হাজতিদের জন্যও পোস্টাল ব্যালটে ভোটগ্রহণের প্রস্তুতি চলছে।

সিইসি বলেন, আমরা আইটি সাপোর্টেড পোস্টাল ব্যালটের একটি হাইব্রিড পদ্ধতি তৈরি করেছি। এতে প্রবাসী, সরকারি চাকরিজীবী ও কয়েদিরাও ভোট দিতে পারবেন।

তিনি আরও জানান, ভোটার তালিকা হালনাগাদে জনগণের অংশগ্রহণ বেড়েছে এবং নারী-পুরুষ ভোটার পার্থক্যও উল্লেখযোগ্যভাবে কমে এসেছে।

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ও কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার (এআই) অপব্যবহার নিয়ে উদ্বেগ জানিয়ে সিইসি বলেন, এবিউজ অব এআই, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমসহ নিত্য নতুন চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতে হচ্ছে। একটা বিশেষ পরিস্থিতিতে ক্রান্তিলগ্নে আমরা দায়িত্ব নিয়েছি। আমার বয়স ৭৩ বছর। জীবনে এটা শেষ সুযোগ হিসেবে নিয়েছি। একটি সুন্দর, সুষ্ঠু নির্বাচন উপহার দেয়াই লক্ষ্য।

সংলাপে আরও উপস্থিত ছিলেন- ইসির সাবেক সচিব (ভারপ্রাপ্ত) ড. মোহাম্মদ জকরিয়া, নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের সাবেক যুগ্মসচিব খন্দকার মিজানুর রহমান, নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের সাবেক যুগ্মসচিব মো. নূরুজ্জামান তালুকদার, নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের সাবেক উপসচিব মিহির সরওয়ার মোর্শেদ, সাবেক আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা (ঢাকা) শাহ আলম, নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের সাবেক যুগ্মসচিব মো. শাহেদুন্নবী চৌধুরী, সাবেক আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা মাহফুজা আক্তার, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক অধ্যাপক ও ফেমার প্রেসিডেন্ট মুনিরা খান, নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের সাবেক উপসচিব মিছবাহ উদ্দিন, সাবেক আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা মীর মো. শাহজাহান।