ইয়জলো, ইতালি: ইতালির ইয়জলো শহরে পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলক্ষে এক ঐতিহাসিক জামাত অনুষ্ঠিত হয়েছে, যেখানে প্রায় ৬০০ মুসল্লি একসঙ্গে নামাজ আদায় করেছেন।
শহরের একটি স্টেডিয়ামে আয়োজিত এই জামাতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মাননীয় মেয়র ক্রিস্টোফের দেজত্তি, স্থানীয় গির্জার প্রধান পাদ্রী দন লুওচো, স্থানীয় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা এবং শহরের বিশিষ্ট ব্যবসায়ীরা। অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেন সেন্ট্রো কুলতুরালে ইয়জলো-এর সভাপতি জনাব সিদ্দিকুর রহমান জসীম।
মেয়র ক্রিস্টোফের দেজত্তি বলেন, “ইয়জলো শহর সব ধর্মের মানুষের জন্য একটি নিরাপদ ও শান্তির স্থান। মুসলিম সম্প্রদায় আমাদের সমাজের গুরুত্বপূর্ণ অংশ, এবং আমরা তাদের সংস্কৃতি ও ধর্মীয় স্বাধীনতাকে সম্মান করি।”
পাদ্রী দন লুওচো বলেন, “বিভিন্ন ধর্মের মানুষের মধ্যে সৌহার্দ্য ও সম্প্রীতি বজায় রাখা আমাদের সবার দায়িত্ব। এই ধরনের আয়োজন সেই বন্ধনকে আরও দৃঢ় করে।”
জনাব সিদ্দিকুর রহমান জসীম বলেন, “প্রবাসে থেকেও আমরা আমাদের ধর্মীয় ও সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য রক্ষা করতে পারছি, এটা আমাদের জন্য বড় অর্জন। এই ঈদ জামাত আমাদের ভ্রাতৃত্বের বন্ধন আরও দৃঢ় করেছে।”
ইউরোপের অন্যান্য দেশে ঈদ উদযাপন
ইউরোপের বিভিন্ন দেশেও প্রবাসী মুসলমানরা ঈদুল ফিতর উদযাপন করেছেন। সৌদি আরবের সঙ্গে মিল রেখে যুক্তরাজ্য, ফ্রান্স, জার্মানি, স্পেন, নেদারল্যান্ডস, বেলজিয়াম, সুইডেন, ডেনমার্ক, নরওয়ে, ফিনল্যান্ড, অস্ট্রিয়া, সুইজারল্যান্ড, পর্তুগাল এবং গ্রিসসহ ইউরোপের বিভিন্ন দেশে ঈদ উদযাপিত হয়েছে। এই দেশগুলোর মুসলিম সম্প্রদায় স্থানীয় মসজিদ ও খোলা মাঠে ঈদের নামাজ আদায় করেছেন এবং পরস্পরের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করেছেন।
বাংলাদেশের বিভিন্ন স্থানে আগাম ঈদ উদযাপন
বাংলাদেশের বিভিন্ন স্থানে সৌদি আরবের সঙ্গে মিল রেখে আগাম ঈদ উদযাপনের খবর পাওয়া গেছে। চট্টগ্রামের পটিয়া, পটুয়াখালীর রাঙ্গাবালী, ফেনী, শরীয়তপুর, বগুড়া, কুড়িগ্রাম, লালমনিরহাট, সাতক্ষীরা, বরগুনা, গাজীপুরসহ দেশের বিভিন্ন জেলায় কয়েকটি গ্রামে আজ ঈদুল ফিতর উদযাপিত হয়েছে। স্থানীয় বাসিন্দারা সৌদি আরবের চাঁদ দেখার ভিত্তিতে ঈদের নামাজ আদায় করেছেন এবং উৎসবমুখর পরিবেশে দিনটি উদযাপন করছেন।
পবিত্র ঈদুল ফিতর মুসলিম উম্মাহর জন্য এক বিশেষ আনন্দের দিন। সারা বিশ্বের মুসলমানরা এই দিনটি উদযাপন করে থাকেন। ইউরোপের বিভিন্ন দেশেও প্রবাসী মুসলমানরা ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্যের সঙ্গে ঈদ পালন করেন। এই উৎসব বিভিন্ন ধর্ম ও সংস্কৃতির মানুষের মধ্যে সৌহার্দ্য ও সম্প্রীতির বন্ধনকে আরও দৃঢ় করে।
অনুষ্ঠানের সঞ্ছালনায় ছিলেন বাংলার প্রভাতের প্রতিষ্ঠাতা এবং ক্রিয়েটিভ হেড সাইফুদ্দিন খালেদ।

✍️ মন্তব্য লিখুন