সচিবালয়ের সামনে পুলিশ জলকামান নিক্ষেপ
ছবি সংগৃহীত
নিয়োগ বাতিলের বিরোধে শিক্ষকদের চলমান আন্দোলনে, সচিবালয়ের সামনে পুলিশ জলকামান নিক্ষেপ করলেও শিক্ষকরা তাদের দাবির প্রতি অনড় অবস্থানে রয়েছেন। এই ঘটনার পেছনে রয়েছে সেই প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক পদে তৃতীয় ধাপে উত্তীর্ণ ৬,৫৩১ জনের নিয়োগ কার্যক্রম বাতিল হওয়ার প্রসঙ্গ, যেটি হাইকোর্ট ৬ ফেব্রুয়ারিতে রায় দিয়ে বাতিল করে।
-
আন্দোলনের পটভূমি:
২০২৩ সালের ১৪ জুন প্রকাশিত তৃতীয় ধাপের বিজ্ঞপ্তির পর, লিখিত ও মৌখিক পরীক্ষার মাধ্যমে নিয়োগপ্রার্থীদের তালিকায় নাম থাকা সত্ত্বেও হাইকোর্টের রায় অনুযায়ী নিয়োগ বাতিল হয়। এ কারণে, নিয়োগবঞ্চিত শিক্ষকরা অভিযোগের পক্ষে হাইকোর্টে রিট দেন এবং এরপর থেকে ১১ দিনের মতো শান্তিপূর্ণ আন্দোলন চালিয়ে আসছেন। -
আন্দোলনের শুরু ও অগ্রগতি:
আন্দোলনের সূচনা শাহবাগে জাতীয় জাদুঘরের সামনে থেকে হয়। পরবর্তীতে, শিক্ষকদের একটি বৃহৎ মিছিল সচিবালয়ের অভিমুখে পদযাত্রা শুরু করে। তারা বিভিন্ন স্লোগান দিয়ে দ্রুত নিয়োগ প্রত্যাবর্তনের দাবি জানাচ্ছেন। -
পুলিশের পদক্ষেপ:
পদযাত্রার পথে পুলিশ তাদের ব্যারিকেড দিয়ে আটকাতে গিয়ে জলকামান থেকে পানি ছিটিয়ে এবং পুরুষ আন্দোলনকারীদের লাঠিপেটা করার মাধ্যমে তাদের ছত্রভঙ্গ করার চেষ্টা করে। এর ফলে, কিছু পুরুষ আন্দোলনকারী সরে গেলেও, নারী আন্দোলনকারীরা রাস্তায় বসে বিক্ষোভ চালিয়ে আসছেন। -
আন্দোলনের দাবি:
আন্দোলনের মূল দাবি হলো—প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগের তৃতীয় ধাপের নিয়োগ বাতিলকৃত শিক্ষকদের চাকরি পুনর্বহাল করা। আন্দোলনকারীরা আশ্বাস না পেলে, তারা দাবি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত রাজপথ ছাড়বেন না বলে উল্লেখ করেছে ।
উপসংহার
পুলিশের জলকামান ও লাঠিপেটা সত্ত্বেও, শিক্ষকদের দৃঢ় ও অনড় অবস্থান দেখায় যে তারা ন্যায়বিচারের জন্য কতটা প্রতিজ্ঞাবদ্ধ। এই প্রতিবাদ শিক্ষকদের চাকরি সংক্রান্ত প্রক্রিয়ায় স্বচ্ছতা ও ন্যায়বিচারের দাবিকে পুনরুজ্জীবিত করছে।