০১:০৮ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৬ মার্চ ২০২৫

বড় সিদ্ধান্ত! রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলাদাভাবে কথা বলবে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন

ডেস্ক নিউজ

ছবি: সংগৃহীত

সংস্কারপ্রক্রিয়া দ্রুত এগিয়ে নিতে নতুন উদ্যোগ

রাজনৈতিক সংস্কারপ্রক্রিয়া দ্রুততর করতে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন এবার রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলাদাভাবে আলোচনা চালানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে। শনিবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) প্রথম বৈঠকের পর এ তথ্য জানিয়েছেন কমিশনের সহসভাপতি ও সংবিধান সংস্কার কমিশনের প্রধান অধ্যাপক আলী রীয়াজ।

রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে অনুষ্ঠিত বৈঠকে ২৭টি রাজনৈতিক দল ও জোটের প্রতিনিধি অংশ নেন। বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। প্রায় চার ঘণ্টাব্যাপী এই বৈঠকে জাতীয় ঐকমত্য প্রতিষ্ঠার বিষয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর মতামত নেওয়া হয়।


সংস্কারে দলগুলোর ঐকমত্য, দ্রুত হবে আলোচনা

বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের আলী রীয়াজ বলেন, “আজকের বৈঠকের মূল লক্ষ্য ছিল জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের কাজ কীভাবে এগিয়ে নেওয়া হবে, তা নিয়ে আলোচনা করা। এটি এক অর্থে কমিশনের আনুষ্ঠানিক সূচনা।”

তিনি আরও বলেন, বৈঠকে অংশ নেওয়া রাজনৈতিক দলগুলোর বক্তব্য থেকে স্পষ্ট হয়েছে যে জাতীয় ঐক্যের কোনো বিকল্প নেই। তারা সংস্কারপ্রক্রিয়াকে সমর্থন জানিয়েছে এবং কমিশনের কার্যক্রমে সক্রিয় অংশগ্রহণের প্রতিশ্রুতি দিয়েছে।


রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলাদাভাবে আলোচনা

আলী রীয়াজ জানান, কমিশন প্রতিটি রাজনৈতিক দলের সঙ্গে আলাদাভাবে বৈঠক করবে, পাশাপাশি দলগুলোর মধ্যে জোটগত আলোচনা চলবে। তিনি বলেন, “এই প্রক্রিয়া দীর্ঘসূত্রতা করতে চাই না। আমরা আশা করছি, অল্প সময়ের মধ্যেই আলোচনা সম্পন্ন করতে পারব।”

তিনি আরও বলেন, রাজনৈতিক দলগুলো সংস্কার কমিশনের জমা দেওয়া প্রতিবেদনগুলোর ছাপা কপি চেয়েছে, যা দ্রুত তাদের কাছে পৌঁছে দেওয়া হবে।


নির্বাচনের পথ সুগম করতে দ্রুত ঐকমত্য চান সবাই

জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের মেয়াদ ছয় মাস নির্ধারণ করা হয়েছে, তবে কমিশনের লক্ষ্য হলো এর আগেই সংস্কার সংক্রান্ত ঐকমত্যে পৌঁছানো।

এ বিষয়ে আলী রীয়াজ বলেন, “আমরা চাই দ্রুত সিদ্ধান্তে পৌঁছাতে। কারণ, সংস্কারের বিষয়ে ঐকমত্য জরুরি, যাতে আমরা দ্রুত নির্বাচনের পথে এগোতে পারি।”

রাজনৈতিক দলগুলোর আগ্রহ ও সহযোগিতার ভিত্তিতে এটি আরও দ্রুত সম্পন্ন হতে পারে বলেও আশাবাদ প্রকাশ করেন তিনি।


সংলাপ কতদিন চলবে? কী হবে পরবর্তী পদক্ষেপ?

সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে আলী রীয়াজ জানান, সংলাপের নির্দিষ্ট সময়সীমা নির্ধারণ করা হয়নি, তবে কমিশন চায় যত দ্রুত সম্ভব আলোচনা শেষ করতে।

তিনি বলেন, “আমরা আশা করছি, ছয় মাসের আগেই এই কাজ সম্পন্ন হবে। তবে এটি হঠাৎ করে নয়, রাজনৈতিক দলগুলোকে পর্যালোচনার জন্য কিছুটা সময় দিতে হবে।”

জাতীয় ঐকমত্য প্রতিষ্ঠার এই প্রচেষ্টা কতটা সফল হবে, তা নির্ভর করবে রাজনৈতিক দলগুলোর আন্তরিকতা ও কমিশনের দক্ষতার ওপর। তবে এটি নিশ্চিত যে দেশ এখন একটি গুরুত্বপূর্ণ রাজনৈতিক পরিবর্তনের দ্বারপ্রান্তে রয়েছে।

Please Share This Post in Your Social Media

আপডেট: ১১:০৪:১১ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৫ ফেব্রুয়ারী ২০২৫
২৭

বড় সিদ্ধান্ত! রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলাদাভাবে কথা বলবে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন

আপডেট: ১১:০৪:১১ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৫ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

ছবি: সংগৃহীত

সংস্কারপ্রক্রিয়া দ্রুত এগিয়ে নিতে নতুন উদ্যোগ

রাজনৈতিক সংস্কারপ্রক্রিয়া দ্রুততর করতে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন এবার রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলাদাভাবে আলোচনা চালানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে। শনিবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) প্রথম বৈঠকের পর এ তথ্য জানিয়েছেন কমিশনের সহসভাপতি ও সংবিধান সংস্কার কমিশনের প্রধান অধ্যাপক আলী রীয়াজ।

রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে অনুষ্ঠিত বৈঠকে ২৭টি রাজনৈতিক দল ও জোটের প্রতিনিধি অংশ নেন। বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। প্রায় চার ঘণ্টাব্যাপী এই বৈঠকে জাতীয় ঐকমত্য প্রতিষ্ঠার বিষয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর মতামত নেওয়া হয়।


সংস্কারে দলগুলোর ঐকমত্য, দ্রুত হবে আলোচনা

বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের আলী রীয়াজ বলেন, “আজকের বৈঠকের মূল লক্ষ্য ছিল জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের কাজ কীভাবে এগিয়ে নেওয়া হবে, তা নিয়ে আলোচনা করা। এটি এক অর্থে কমিশনের আনুষ্ঠানিক সূচনা।”

তিনি আরও বলেন, বৈঠকে অংশ নেওয়া রাজনৈতিক দলগুলোর বক্তব্য থেকে স্পষ্ট হয়েছে যে জাতীয় ঐক্যের কোনো বিকল্প নেই। তারা সংস্কারপ্রক্রিয়াকে সমর্থন জানিয়েছে এবং কমিশনের কার্যক্রমে সক্রিয় অংশগ্রহণের প্রতিশ্রুতি দিয়েছে।


রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলাদাভাবে আলোচনা

আলী রীয়াজ জানান, কমিশন প্রতিটি রাজনৈতিক দলের সঙ্গে আলাদাভাবে বৈঠক করবে, পাশাপাশি দলগুলোর মধ্যে জোটগত আলোচনা চলবে। তিনি বলেন, “এই প্রক্রিয়া দীর্ঘসূত্রতা করতে চাই না। আমরা আশা করছি, অল্প সময়ের মধ্যেই আলোচনা সম্পন্ন করতে পারব।”

তিনি আরও বলেন, রাজনৈতিক দলগুলো সংস্কার কমিশনের জমা দেওয়া প্রতিবেদনগুলোর ছাপা কপি চেয়েছে, যা দ্রুত তাদের কাছে পৌঁছে দেওয়া হবে।


নির্বাচনের পথ সুগম করতে দ্রুত ঐকমত্য চান সবাই

জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের মেয়াদ ছয় মাস নির্ধারণ করা হয়েছে, তবে কমিশনের লক্ষ্য হলো এর আগেই সংস্কার সংক্রান্ত ঐকমত্যে পৌঁছানো।

এ বিষয়ে আলী রীয়াজ বলেন, “আমরা চাই দ্রুত সিদ্ধান্তে পৌঁছাতে। কারণ, সংস্কারের বিষয়ে ঐকমত্য জরুরি, যাতে আমরা দ্রুত নির্বাচনের পথে এগোতে পারি।”

রাজনৈতিক দলগুলোর আগ্রহ ও সহযোগিতার ভিত্তিতে এটি আরও দ্রুত সম্পন্ন হতে পারে বলেও আশাবাদ প্রকাশ করেন তিনি।


সংলাপ কতদিন চলবে? কী হবে পরবর্তী পদক্ষেপ?

সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে আলী রীয়াজ জানান, সংলাপের নির্দিষ্ট সময়সীমা নির্ধারণ করা হয়নি, তবে কমিশন চায় যত দ্রুত সম্ভব আলোচনা শেষ করতে।

তিনি বলেন, “আমরা আশা করছি, ছয় মাসের আগেই এই কাজ সম্পন্ন হবে। তবে এটি হঠাৎ করে নয়, রাজনৈতিক দলগুলোকে পর্যালোচনার জন্য কিছুটা সময় দিতে হবে।”

জাতীয় ঐকমত্য প্রতিষ্ঠার এই প্রচেষ্টা কতটা সফল হবে, তা নির্ভর করবে রাজনৈতিক দলগুলোর আন্তরিকতা ও কমিশনের দক্ষতার ওপর। তবে এটি নিশ্চিত যে দেশ এখন একটি গুরুত্বপূর্ণ রাজনৈতিক পরিবর্তনের দ্বারপ্রান্তে রয়েছে।