০৩:০৮ অপরাহ্ন, সোমবার, ১২ মে ২০২৫

গেজেট পাওয়ার পর আওয়ামী লীগের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবে নির্বাচন কমিশন: সিইসি নাসির উদ্দীন

ডেস্ক নিউজ

সন্ত্রাসবিরোধী আইনের আওতায় বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সব ধরনের কার্যক্রম নিষিদ্ধ করার সরকারি সিদ্ধান্তের বিষয়ে আনুষ্ঠানিক গেজেট পাওয়ার পর প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দীন। গতকাল রোববার একটি বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেলকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তিনি এ মন্তব্য করেন।

সিইসি বলেন,

“আমরা কেবল সংবাদমাধ্যমের খবরে ভিত্তি করে কোনো সিদ্ধান্ত নেব না। সরকারিভাবে কাগজপত্র হাতে পেলে সে অনুযায়ী কমিশন বৈঠকে বসে সিদ্ধান্ত নেবে।”

আজই নির্বাচন কমিশনের বৈঠক

নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, এ বিষয়ে আজ সোমবার একটি বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে। বৈঠকে অন্তর্বর্তী সরকারের সিদ্ধান্ত ও আইন সংশোধনের গেজেট পর্যালোচনা করে কমিশনের অবস্থান নির্ধারণ করা হবে।

সন্ত্রাসবিরোধী আইনে আওয়ামী লীগের নিষেধাজ্ঞা

গত শনিবার রাতে অন্তর্বর্তী সরকার আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে বিচারাধীন থাকা অবস্থায় আওয়ামী লীগের সব কার্যক্রম—সাইবার স্পেসসহ—নিষিদ্ধ করার সিদ্ধান্ত নেয়। এই সিদ্ধান্তের অংশ হিসেবে “সন্ত্রাসবিরোধী (সংশোধন) অধ্যাদেশ, ২০২৫”-এর নীতিগত ও চূড়ান্ত অনুমোদন দেওয়া হয়। রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় অনুষ্ঠিত উপদেষ্টা পরিষদের এক বৈঠকে অধ্যাদেশটি অনুমোদন করেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস।

আইন উপদেষ্টা অধ্যাপক আসিফ নজরুল বলেন,

“দেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষা, আন্দোলনকারীদের নিরাপত্তা এবং ট্রাইব্যুনালের বাদী ও সাক্ষীদের সুরক্ষার স্বার্থে এই পদক্ষেপ জরুরি হয়ে উঠেছে।”

আইনের নতুন সংশোধনীতে কী আছে?

সংশোধিত আইনে কোনো সংগঠন বা সত্তার কার্যক্রম নিষিদ্ধ করার স্পষ্ট বিধান যুক্ত করা হয়েছে। একই সঙ্গে তাদের অনলাইন বা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রচার নিষিদ্ধ করার ব্যবস্থাও রাখা হয়েছে।

বৈঠকের সারসংক্ষেপে বলা হয়েছে,

“বিদ্যমান সন্ত্রাসবিরোধী আইন, ২০০৯-এ সত্তা বা সংগঠনের কার্যক্রম নিষিদ্ধ করার কোনো সুনির্দিষ্ট বিধান ছিল না। বর্তমান প্রেক্ষাপটে বিষয়টি সময়োপযোগী করে আইনে সংযোজন আবশ্যক।”

নতুন পরিস্থিতিতে আওয়ামী লীগের রাজনৈতিক ভবিষ্যৎ নিয়ে নানা জল্পনা-কল্পনা শুরু হয়েছে। রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করছেন, নির্বাচন কমিশনের অবস্থান এ ক্ষেত্রে বড় ধরনের বার্তা বহন করবে।


সুত্র: বাংলার প্রভাত প্রতিবেদন, টেলিভিশন সাক্ষাৎকার, উপদেষ্টা পরিষদের সভা সারসংক্ষেপ

ছবি: ফাইল/সংগৃহীত

Please Share This Post in Your Social Media

আপডেট: ১১:১৭:১৮ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১২ মে ২০২৫

গেজেট পাওয়ার পর আওয়ামী লীগের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবে নির্বাচন কমিশন: সিইসি নাসির উদ্দীন

আপডেট: ১১:১৭:১৮ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১২ মে ২০২৫

সন্ত্রাসবিরোধী আইনের আওতায় বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সব ধরনের কার্যক্রম নিষিদ্ধ করার সরকারি সিদ্ধান্তের বিষয়ে আনুষ্ঠানিক গেজেট পাওয়ার পর প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দীন। গতকাল রোববার একটি বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেলকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তিনি এ মন্তব্য করেন।

সিইসি বলেন,

“আমরা কেবল সংবাদমাধ্যমের খবরে ভিত্তি করে কোনো সিদ্ধান্ত নেব না। সরকারিভাবে কাগজপত্র হাতে পেলে সে অনুযায়ী কমিশন বৈঠকে বসে সিদ্ধান্ত নেবে।”

আজই নির্বাচন কমিশনের বৈঠক

নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, এ বিষয়ে আজ সোমবার একটি বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে। বৈঠকে অন্তর্বর্তী সরকারের সিদ্ধান্ত ও আইন সংশোধনের গেজেট পর্যালোচনা করে কমিশনের অবস্থান নির্ধারণ করা হবে।

সন্ত্রাসবিরোধী আইনে আওয়ামী লীগের নিষেধাজ্ঞা

গত শনিবার রাতে অন্তর্বর্তী সরকার আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে বিচারাধীন থাকা অবস্থায় আওয়ামী লীগের সব কার্যক্রম—সাইবার স্পেসসহ—নিষিদ্ধ করার সিদ্ধান্ত নেয়। এই সিদ্ধান্তের অংশ হিসেবে “সন্ত্রাসবিরোধী (সংশোধন) অধ্যাদেশ, ২০২৫”-এর নীতিগত ও চূড়ান্ত অনুমোদন দেওয়া হয়। রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় অনুষ্ঠিত উপদেষ্টা পরিষদের এক বৈঠকে অধ্যাদেশটি অনুমোদন করেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস।

আইন উপদেষ্টা অধ্যাপক আসিফ নজরুল বলেন,

“দেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষা, আন্দোলনকারীদের নিরাপত্তা এবং ট্রাইব্যুনালের বাদী ও সাক্ষীদের সুরক্ষার স্বার্থে এই পদক্ষেপ জরুরি হয়ে উঠেছে।”

আইনের নতুন সংশোধনীতে কী আছে?

সংশোধিত আইনে কোনো সংগঠন বা সত্তার কার্যক্রম নিষিদ্ধ করার স্পষ্ট বিধান যুক্ত করা হয়েছে। একই সঙ্গে তাদের অনলাইন বা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রচার নিষিদ্ধ করার ব্যবস্থাও রাখা হয়েছে।

বৈঠকের সারসংক্ষেপে বলা হয়েছে,

“বিদ্যমান সন্ত্রাসবিরোধী আইন, ২০০৯-এ সত্তা বা সংগঠনের কার্যক্রম নিষিদ্ধ করার কোনো সুনির্দিষ্ট বিধান ছিল না। বর্তমান প্রেক্ষাপটে বিষয়টি সময়োপযোগী করে আইনে সংযোজন আবশ্যক।”

নতুন পরিস্থিতিতে আওয়ামী লীগের রাজনৈতিক ভবিষ্যৎ নিয়ে নানা জল্পনা-কল্পনা শুরু হয়েছে। রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করছেন, নির্বাচন কমিশনের অবস্থান এ ক্ষেত্রে বড় ধরনের বার্তা বহন করবে।


সুত্র: বাংলার প্রভাত প্রতিবেদন, টেলিভিশন সাক্ষাৎকার, উপদেষ্টা পরিষদের সভা সারসংক্ষেপ

ছবি: ফাইল/সংগৃহীত