রপ্তানিতে মহাসংকট! চট্টগ্রামে আটকে ১৪ হাজার কনটেইনার, পোশাকশিল্পে ‘অপূরণীয় ক্ষতি
চট্টগ্রামে কাস্টমস কর্মকর্তাদের দুই দিনের ‘শাটডাউন’ কর্মসূচিতে থমকে গেছে দেশের রপ্তানির চাকা! ডিপোতে জমেছে প্রায় ১৪ হাজার কনটেইনার রপ্তানি পণ্য, যার সিংহভাগই গার্মেন্টস শিল্পের। বিশ্লেষকরা বলছেন, এ পরিস্থিতি যদি দীর্ঘায়িত হয়, তা হলে বাংলাদেশের বৈদেশিক বাণিজ্যে বড় ধরনের ধস নামতে পারে।
🔴 ৬৩ কনটেইনার পণ্য ছাড়াই জাহাজ ছেড়েছে বন্দর!
🔴 ৩ হাজার ৬৮০ কনটেইনার পাঠানোই যায়নি!
🔴 ২১টি জাহাজ সাগরে আটকে, বন্দরে কনটেইনার ৪১ হাজার!
বিশ্ববাজারের সময়সূচি মিস করে ফেলে এখন পোশাক রপ্তানিকারকদের মাথায় হাত। চট্টগ্রামের এশিয়ান-ডাফ গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এম এ সালাম বলেন, “এই দুই দিনের কর্মসূচিতে এমন ক্ষতি হয়ে গেল যা আমরা পুরো বছরেও পুষিয়ে নিতে পারব না।”
শিপিং কোম্পানিগুলোও চরম হতাশায়। একাধিক জাহাজ রপ্তানি কনটেইনার না পেয়ে অলসভাবে বসে আছে জেটিতে। সময়মতো ইউরোপ ও আমেরিকাগামী বড় জাহাজগুলোতে পণ্য তোলা সম্ভব না হওয়ায় তৈরি হচ্ছে গ্লোবাল সাপ্লাই চেইনে বিশৃঙ্খলা।
সরকার এনবিআরকে ‘অত্যাবশ্যকীয় সেবা’ হিসেবে ঘোষণা দিয়ে সমস্যা সমাধানের চেষ্টা করছে, কিন্তু প্রভাব ইতিমধ্যেই ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে।
📌 দেশের সবচেয়ে বড় রপ্তানি খাত গার্মেন্টস কি এই ধাক্কা সামাল দিতে পারবে?
বিশেষজ্ঞরা বলছেন: এখনই কার্যকর পদক্ষেপ না নিলে আন্তর্জাতিক ক্রেতারা মুখ ফিরিয়ে নিতে পারেন বাংলাদেশ থেকে!
👉 নিয়মিত আপডেটের জন্য চোখ রাখুন।
👉 নিচে মতামত দিন—এই সংকটের দায়ভার কার?