০৮:৪৪ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৫ এপ্রিল ২০২৫

বিএনপির স্পষ্ট বার্তা: “ডিসেম্বরের বাইরের কোনো নির্বাচনে একমত নয়”

ডেস্ক নিউজ

প্রধান উপদেষ্টার সময়সীমা প্রস্তাব নিয়ে দ্বিধায় বিএনপি

আগামী ডিসেম্বর থেকে জুন—এই সময়ের মধ্যে জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য প্রধান উপদেষ্টা যেই তাগিদ দিয়েছেন, তার সঙ্গে একমত নয় বিএনপি। দলটি সাফ জানিয়ে দিয়েছে, ডিসেম্বরের মধ্যেই নির্বাচন চাই তারা, অন্যথায় তা প্রত্যাখ্যান করবে।

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহ উদ্দিন আহমদ জানান,

“আমরা এ বছরের ডিসেম্বরের আগে নির্বাচন চাই। এ বিষয়ে প্রধান উপদেষ্টা আমাদের কাছে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। এখন তিনি ভিন্ন বক্তব্য দিলে আমরা একমত হতে পারি না।”

বৈঠকের পর বদলালো বক্তব্য

আজ শনিবার বিকেলে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের চেয়ারম্যান অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস ঐকমত্য কমিশনের সহসভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ এবং সদস্য বদিউল আলম মজুমদারের সঙ্গে বৈঠক করেন। সেখানে তিনি বলেন,

“ডিসেম্বর থেকে জুনের মধ্যে নির্বাচন অনুষ্ঠানের লক্ষ্যে কমিশনকে সংস্কার কার্যক্রম দ্রুত এগিয়ে নিতে হবে।”

প্রথমে এই বক্তব্যকে ‘ডিসেম্বরে নির্বাচনের লক্ষ্য’ হিসেবে গণমাধ্যমে উপস্থাপন করা হয়। পরে প্রেস উইং বক্তব্য সংশোধন করে ডিসেম্বর থেকে জুনের মধ্যে নির্বাচন করার কথা জানায়।

বিএনপির প্রতিক্রিয়া: বিভ্রান্তিকর ও আশঙ্কাজনক

প্রেস উইংয়ের বক্তব্য পরিবর্তনের প্রতিক্রিয়ায় বিএনপির সালাহ উদ্দিন বলেন,

“প্রধান উপদেষ্টা যদি এখনো বলেন জুন পর্যন্ত সময় ধরে নির্বাচন করতে চান, তবে আমরা তাঁর সঙ্গে একমত নই। তিনি জাতির সামনে একটি নির্দিষ্ট সময়সীমা দিতে পারেননি, এতে বিভ্রান্তি তৈরি হচ্ছে।”

তিনি আরও যোগ করেন,

“আমরা আশা করি, তিনি দ্রুত জাতির সামনে একটি পরিষ্কার ঘোষণা দেবেন, যাতে কোনো ষড়যন্ত্রের সুযোগ না থাকে।”

আগামী ১৬ এপ্রিল বিএনপি-উপদেষ্টা বৈঠক

সালাহ উদ্দিন আহমদ জানান, বিএনপি আগামী ১৬ এপ্রিল প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে বৈঠকে বসবে। সেখানে তারা জানতে চায়,

“আসলে উনি কী চাইছেন? ডিসেম্বরের নির্দিষ্ট সময়েই কি নির্বাচন? নাকি এর বাইরে যাওয়ার কোনো পরিকল্পনা আছে?”

তিনি বলেন,

“যদি জুন পর্যন্ত সময় বিবেচনায় নেওয়া হয়, তবে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে বসেই সিদ্ধান্ত নিতে হবে—তারা কোনো আন্দোলন কর্মসূচিতে যাবে কি না।”

উপসংহার: রাজনৈতিক অনিশ্চয়তার নতুন অধ্যায়

বিএনপি যেখানে ডিসেম্বরের মধ্যেই নির্বাচন চাইছে, সেখানে প্রধান উপদেষ্টার সময়সীমা প্রসারিত করার বার্তা রাজনৈতিক অস্থিরতা বাড়িয়ে তুলতে পারে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা। এখন দেখার বিষয়, ১৬ এপ্রিলের বৈঠকে কোন দিকে মোড় নেয় দেশের নির্বাচন-রাজনীতি।

Please Share This Post in Your Social Media

আপডেট: ১১:১১:২৮ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১৩ এপ্রিল ২০২৫

বিএনপির স্পষ্ট বার্তা: “ডিসেম্বরের বাইরের কোনো নির্বাচনে একমত নয়”

আপডেট: ১১:১১:২৮ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১৩ এপ্রিল ২০২৫

প্রধান উপদেষ্টার সময়সীমা প্রস্তাব নিয়ে দ্বিধায় বিএনপি

আগামী ডিসেম্বর থেকে জুন—এই সময়ের মধ্যে জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য প্রধান উপদেষ্টা যেই তাগিদ দিয়েছেন, তার সঙ্গে একমত নয় বিএনপি। দলটি সাফ জানিয়ে দিয়েছে, ডিসেম্বরের মধ্যেই নির্বাচন চাই তারা, অন্যথায় তা প্রত্যাখ্যান করবে।

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহ উদ্দিন আহমদ জানান,

“আমরা এ বছরের ডিসেম্বরের আগে নির্বাচন চাই। এ বিষয়ে প্রধান উপদেষ্টা আমাদের কাছে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। এখন তিনি ভিন্ন বক্তব্য দিলে আমরা একমত হতে পারি না।”

বৈঠকের পর বদলালো বক্তব্য

আজ শনিবার বিকেলে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের চেয়ারম্যান অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস ঐকমত্য কমিশনের সহসভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ এবং সদস্য বদিউল আলম মজুমদারের সঙ্গে বৈঠক করেন। সেখানে তিনি বলেন,

“ডিসেম্বর থেকে জুনের মধ্যে নির্বাচন অনুষ্ঠানের লক্ষ্যে কমিশনকে সংস্কার কার্যক্রম দ্রুত এগিয়ে নিতে হবে।”

প্রথমে এই বক্তব্যকে ‘ডিসেম্বরে নির্বাচনের লক্ষ্য’ হিসেবে গণমাধ্যমে উপস্থাপন করা হয়। পরে প্রেস উইং বক্তব্য সংশোধন করে ডিসেম্বর থেকে জুনের মধ্যে নির্বাচন করার কথা জানায়।

বিএনপির প্রতিক্রিয়া: বিভ্রান্তিকর ও আশঙ্কাজনক

প্রেস উইংয়ের বক্তব্য পরিবর্তনের প্রতিক্রিয়ায় বিএনপির সালাহ উদ্দিন বলেন,

“প্রধান উপদেষ্টা যদি এখনো বলেন জুন পর্যন্ত সময় ধরে নির্বাচন করতে চান, তবে আমরা তাঁর সঙ্গে একমত নই। তিনি জাতির সামনে একটি নির্দিষ্ট সময়সীমা দিতে পারেননি, এতে বিভ্রান্তি তৈরি হচ্ছে।”

তিনি আরও যোগ করেন,

“আমরা আশা করি, তিনি দ্রুত জাতির সামনে একটি পরিষ্কার ঘোষণা দেবেন, যাতে কোনো ষড়যন্ত্রের সুযোগ না থাকে।”

আগামী ১৬ এপ্রিল বিএনপি-উপদেষ্টা বৈঠক

সালাহ উদ্দিন আহমদ জানান, বিএনপি আগামী ১৬ এপ্রিল প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে বৈঠকে বসবে। সেখানে তারা জানতে চায়,

“আসলে উনি কী চাইছেন? ডিসেম্বরের নির্দিষ্ট সময়েই কি নির্বাচন? নাকি এর বাইরে যাওয়ার কোনো পরিকল্পনা আছে?”

তিনি বলেন,

“যদি জুন পর্যন্ত সময় বিবেচনায় নেওয়া হয়, তবে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে বসেই সিদ্ধান্ত নিতে হবে—তারা কোনো আন্দোলন কর্মসূচিতে যাবে কি না।”

উপসংহার: রাজনৈতিক অনিশ্চয়তার নতুন অধ্যায়

বিএনপি যেখানে ডিসেম্বরের মধ্যেই নির্বাচন চাইছে, সেখানে প্রধান উপদেষ্টার সময়সীমা প্রসারিত করার বার্তা রাজনৈতিক অস্থিরতা বাড়িয়ে তুলতে পারে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা। এখন দেখার বিষয়, ১৬ এপ্রিলের বৈঠকে কোন দিকে মোড় নেয় দেশের নির্বাচন-রাজনীতি।