০৮:৫৯ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৫ এপ্রিল ২০২৫

ট্রাম্পের ১০৪ শতাংশ শুল্কের জবাবে চীনের ৮৪ শতাংশ শুল্ক: বিশ্ববাজারে অস্থিরতা

ডেস্ক নিউজ

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ৮ এপ্রিল ২০২৫ তারিখে চীনা পণ্যের ওপর শুল্ক বৃদ্ধি করে মোট ১০৪ শতাংশে উন্নীত করেছেন। এর প্রতিক্রিয়ায়, চীন ৯ এপ্রিল মার্কিন পণ্যের ওপর শুল্ক বাড়িয়ে ৮৪ শতাংশ করেছে। এই পাল্টাপাল্টি শুল্ক আরোপের ফলে বিশ্ববাজারে ব্যাপক অস্থিরতা দেখা দিয়েছে।

বাজারের প্রতিক্রিয়া

এই শুল্ক বৃদ্ধির ফলে এশিয়ার শেয়ারবাজারে উল্লেখযোগ্য পতন হয়েছে। ইউরোপীয় বাজারেও নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে; প্যান-ইউরোপীয় স্টকস ৬০০ সূচক ৩.৪ শতাংশ কমে গেছে, এবং স্বাস্থ্যসেবা, খনি ও তেল ও গ্যাস খাতের শেয়ারের দাম যথাক্রমে ৫.৩ শতাংশ, ৩.৩ শতাংশ ও ৪.৬ শতাংশ হ্রাস পেয়েছে।

জ্বালানি ও মুদ্রাবাজারের অবস্থা

জ্বালানি তেলের দাম চার বছরের মধ্যে সর্বনিম্ন পর্যায়ে নেমে এসেছে; ব্রেন্ট ক্রুড তেলের দাম ব্যারেলপ্রতি ৬০ ডলারে পৌঁছেছে। ডলারের মানও কমেছে, যা মুদ্রাস্ফীতির আশঙ্কা বাড়িয়েছে।

চীনের প্রতিক্রিয়া ও পদক্ষেপ

চীন এই শুল্ক বৃদ্ধিকে “অন্যায় ও একতরফা” বলে অভিহিত করেছে এবং মার্কিন পণ্যে ৮৪ শতাংশ শুল্ক আরোপ করেছে। এছাড়াও, চীন আমেরিকান ফার্মগুলোর ওপর রপ্তানি নিয়ন্ত্রণ আরোপ করেছে এবং কিছু মার্কিন কোম্পানিকে “অবিশ্বস্ত সত্তা তালিকা”তে অন্তর্ভুক্ত করেছে।

বিশ্লেষকদের দৃষ্টিভঙ্গি

বিশ্লেষকদের মতে, এই বাণিজ্য যুদ্ধের ফলে বিশ্ব অর্থনীতিতে মন্দার আশঙ্কা বেড়েছে। গোল্ডম্যান স্যাক্সের পূর্বাভাস অনুযায়ী, বছরের শেষে মুদ্রাস্ফীতির হার ৪.৪ শতাংশে পৌঁছাতে পারে।

সোনার বাজারের অবস্থা

অস্থিরতার মধ্যে বিনিয়োগকারীরা সোনার দিকে ঝুঁকছেন; সোনার দাম আউন্সপ্রতি ৩,০০০ ডলার ছাড়িয়েছে, যা বিনিয়োগকারীদের নিরাপদ আশ্রয়ের প্রতিফলন।

এই পরিস্থিতি বিশ্ব অর্থনীতির স্থিতিশীলতার জন্য হুমকি সৃষ্টি করছে, এবং বিশেষজ্ঞরা সতর্ক করে দিচ্ছেন যে এই বাণিজ্য যুদ্ধের প্রভাব দীর্ঘমেয়াদি হতে পারে।

Please Share This Post in Your Social Media

আপডেট: ০৬:৪৬:২৪ অপরাহ্ন, বুধবার, ৯ এপ্রিল ২০২৫

ট্রাম্পের ১০৪ শতাংশ শুল্কের জবাবে চীনের ৮৪ শতাংশ শুল্ক: বিশ্ববাজারে অস্থিরতা

আপডেট: ০৬:৪৬:২৪ অপরাহ্ন, বুধবার, ৯ এপ্রিল ২০২৫

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ৮ এপ্রিল ২০২৫ তারিখে চীনা পণ্যের ওপর শুল্ক বৃদ্ধি করে মোট ১০৪ শতাংশে উন্নীত করেছেন। এর প্রতিক্রিয়ায়, চীন ৯ এপ্রিল মার্কিন পণ্যের ওপর শুল্ক বাড়িয়ে ৮৪ শতাংশ করেছে। এই পাল্টাপাল্টি শুল্ক আরোপের ফলে বিশ্ববাজারে ব্যাপক অস্থিরতা দেখা দিয়েছে।

বাজারের প্রতিক্রিয়া

এই শুল্ক বৃদ্ধির ফলে এশিয়ার শেয়ারবাজারে উল্লেখযোগ্য পতন হয়েছে। ইউরোপীয় বাজারেও নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে; প্যান-ইউরোপীয় স্টকস ৬০০ সূচক ৩.৪ শতাংশ কমে গেছে, এবং স্বাস্থ্যসেবা, খনি ও তেল ও গ্যাস খাতের শেয়ারের দাম যথাক্রমে ৫.৩ শতাংশ, ৩.৩ শতাংশ ও ৪.৬ শতাংশ হ্রাস পেয়েছে।

জ্বালানি ও মুদ্রাবাজারের অবস্থা

জ্বালানি তেলের দাম চার বছরের মধ্যে সর্বনিম্ন পর্যায়ে নেমে এসেছে; ব্রেন্ট ক্রুড তেলের দাম ব্যারেলপ্রতি ৬০ ডলারে পৌঁছেছে। ডলারের মানও কমেছে, যা মুদ্রাস্ফীতির আশঙ্কা বাড়িয়েছে।

চীনের প্রতিক্রিয়া ও পদক্ষেপ

চীন এই শুল্ক বৃদ্ধিকে “অন্যায় ও একতরফা” বলে অভিহিত করেছে এবং মার্কিন পণ্যে ৮৪ শতাংশ শুল্ক আরোপ করেছে। এছাড়াও, চীন আমেরিকান ফার্মগুলোর ওপর রপ্তানি নিয়ন্ত্রণ আরোপ করেছে এবং কিছু মার্কিন কোম্পানিকে “অবিশ্বস্ত সত্তা তালিকা”তে অন্তর্ভুক্ত করেছে।

বিশ্লেষকদের দৃষ্টিভঙ্গি

বিশ্লেষকদের মতে, এই বাণিজ্য যুদ্ধের ফলে বিশ্ব অর্থনীতিতে মন্দার আশঙ্কা বেড়েছে। গোল্ডম্যান স্যাক্সের পূর্বাভাস অনুযায়ী, বছরের শেষে মুদ্রাস্ফীতির হার ৪.৪ শতাংশে পৌঁছাতে পারে।

সোনার বাজারের অবস্থা

অস্থিরতার মধ্যে বিনিয়োগকারীরা সোনার দিকে ঝুঁকছেন; সোনার দাম আউন্সপ্রতি ৩,০০০ ডলার ছাড়িয়েছে, যা বিনিয়োগকারীদের নিরাপদ আশ্রয়ের প্রতিফলন।

এই পরিস্থিতি বিশ্ব অর্থনীতির স্থিতিশীলতার জন্য হুমকি সৃষ্টি করছে, এবং বিশেষজ্ঞরা সতর্ক করে দিচ্ছেন যে এই বাণিজ্য যুদ্ধের প্রভাব দীর্ঘমেয়াদি হতে পারে।