০৪:৪৩ অপরাহ্ন, সোমবার, ০৭ এপ্রিল ২০২৫

পলাতক রাজনীতিকদের ব্যবসায়িক অংশীদার খোঁজার প্রবণতা

ডেস্ক নিউজ

ঢাকা, এপ্রিল ২০২৫:
সম্প্রতি দেশে রাজনৈতিক পরিবেশ পরিবর্তনের প্রেক্ষাপটে কয়েকজন সাবেক সরকারি কর্মকর্তা ও রাজনৈতিক নেতার বিদেশে অবস্থান এবং তাদের পরিচালিত ব্যবসা প্রতিষ্ঠানগুলোর ভবিষ্যৎ নিয়ে নানা জল্পনা-কল্পনার সৃষ্টি হয়েছে। একাধিক সূত্র জানিয়েছে, এসব পলাতক নেতারা তাদের ব্যবসা প্রতিষ্ঠানগুলো সচল রাখতে নতুন অংশীদার খুঁজছেন।

বিশেষ করে ২০০৯ থেকে ২০২৪ সাল পর্যন্ত ক্ষমতায় থাকা একটি রাজনৈতিক দলের কেন্দ্রীয়, জেলা ও উপজেলা পর্যায়ের প্রভাবশালী নেতারা তাদের ব্যবসায়িক কার্যক্রম পরিচালনার জন্য অংশীদারিত্বের ভিত্তিতে চুক্তির চেষ্টা করছেন বলে ব্যবসায়িক সূত্রগুলো জানিয়েছে।

ব্যবসায়িক কর্মকাণ্ড:
নারায়ণগঞ্জের এক প্রভাবশালী সাবেক সংসদ সদস্য ও তার পরিবারের মালিকানাধীন গার্মেন্টস, পরিবহন, শিপিং এবং আবাসন খাতের কয়েকটি প্রতিষ্ঠানের বর্তমান কার্যক্রম নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। তাদের পরিবারের কয়েকজন সদস্য দেশের বাইরে অবস্থান করলেও, ব্যবসা পরিচালনার জন্য নতুন অংশীদার নিয়োগ করা হয়েছে বলে জানা গেছে।

একইভাবে, দেশের একটি বৃহৎ শিল্পগোষ্ঠীর সাবেক পরামর্শক এবং ব্যবসায়ী নেতার মালিকানাধীন বেশ কিছু প্রতিষ্ঠান আর্থিক চাপে রয়েছে। এসব প্রতিষ্ঠানের ব্যাংকঋণ ও চলমান প্রকল্প ব্যবস্থাপনায় অংশীদার খুঁজছেন সংশ্লিষ্টরা।

অন্য নেতাদের ক্ষেত্রেও একই প্রবণতা:
অন্যান্য যেসব ব্যবসা প্রতিষ্ঠান অংশীদার খুঁজছে তার মধ্যে রয়েছে তৈরি পোশাক, আবাসন, বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতভিত্তিক একাধিক কোম্পানি। কয়েকটি প্রতিষ্ঠানের পরিবার-পরিচালিত ব্যবস্থাপনায় পরিবর্তন আসছে বলে ব্যবসায়ী সূত্র জানিয়েছে।

বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, রাজনৈতিক অনিশ্চয়তা এবং আন্তর্জাতিক আর্থিক যোগাযোগ বিঘ্নিত হওয়ায় এসব প্রতিষ্ঠান বিকল্প ব্যবস্থাপনার দিকে ঝুঁকছে।

বাণিজ্য বিশ্লেষকদের মতামত:
ব্যবসা-বাণিজ্য বিশ্লেষক ড. সায়েম ইকবাল বলেন, “রাজনৈতিক পরিবর্তন ব্যবসায়িক কার্যক্রমে প্রভাব ফেলতে পারে, বিশেষ করে যখন ব্যবসার সঙ্গে ব্যক্তিগত বা রাজনৈতিক প্রভাব জড়িত থাকে। তবে নতুন অংশীদার গ্রহণ একটি বাস্তবসম্মত কৌশল হতে পারে, যদি তা পেশাদারিত্বের ভিত্তিতে হয়।”

বর্তমানে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) ও আর্থিক গোয়েন্দা ইউনিট বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের লেনদেন ও সম্পদ যাচাই করছে বলে প্রশাসনিক সূত্রে জানা গেছে।

সুত্রঃ ইনকিলাব পত্রিকা

Please Share This Post in Your Social Media

আপডেট: ০৪:৪২:৫১ অপরাহ্ন, সোমবার, ৭ এপ্রিল ২০২৫

পলাতক রাজনীতিকদের ব্যবসায়িক অংশীদার খোঁজার প্রবণতা

আপডেট: ০৪:৪২:৫১ অপরাহ্ন, সোমবার, ৭ এপ্রিল ২০২৫

ঢাকা, এপ্রিল ২০২৫:
সম্প্রতি দেশে রাজনৈতিক পরিবেশ পরিবর্তনের প্রেক্ষাপটে কয়েকজন সাবেক সরকারি কর্মকর্তা ও রাজনৈতিক নেতার বিদেশে অবস্থান এবং তাদের পরিচালিত ব্যবসা প্রতিষ্ঠানগুলোর ভবিষ্যৎ নিয়ে নানা জল্পনা-কল্পনার সৃষ্টি হয়েছে। একাধিক সূত্র জানিয়েছে, এসব পলাতক নেতারা তাদের ব্যবসা প্রতিষ্ঠানগুলো সচল রাখতে নতুন অংশীদার খুঁজছেন।

বিশেষ করে ২০০৯ থেকে ২০২৪ সাল পর্যন্ত ক্ষমতায় থাকা একটি রাজনৈতিক দলের কেন্দ্রীয়, জেলা ও উপজেলা পর্যায়ের প্রভাবশালী নেতারা তাদের ব্যবসায়িক কার্যক্রম পরিচালনার জন্য অংশীদারিত্বের ভিত্তিতে চুক্তির চেষ্টা করছেন বলে ব্যবসায়িক সূত্রগুলো জানিয়েছে।

ব্যবসায়িক কর্মকাণ্ড:
নারায়ণগঞ্জের এক প্রভাবশালী সাবেক সংসদ সদস্য ও তার পরিবারের মালিকানাধীন গার্মেন্টস, পরিবহন, শিপিং এবং আবাসন খাতের কয়েকটি প্রতিষ্ঠানের বর্তমান কার্যক্রম নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। তাদের পরিবারের কয়েকজন সদস্য দেশের বাইরে অবস্থান করলেও, ব্যবসা পরিচালনার জন্য নতুন অংশীদার নিয়োগ করা হয়েছে বলে জানা গেছে।

একইভাবে, দেশের একটি বৃহৎ শিল্পগোষ্ঠীর সাবেক পরামর্শক এবং ব্যবসায়ী নেতার মালিকানাধীন বেশ কিছু প্রতিষ্ঠান আর্থিক চাপে রয়েছে। এসব প্রতিষ্ঠানের ব্যাংকঋণ ও চলমান প্রকল্প ব্যবস্থাপনায় অংশীদার খুঁজছেন সংশ্লিষ্টরা।

অন্য নেতাদের ক্ষেত্রেও একই প্রবণতা:
অন্যান্য যেসব ব্যবসা প্রতিষ্ঠান অংশীদার খুঁজছে তার মধ্যে রয়েছে তৈরি পোশাক, আবাসন, বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতভিত্তিক একাধিক কোম্পানি। কয়েকটি প্রতিষ্ঠানের পরিবার-পরিচালিত ব্যবস্থাপনায় পরিবর্তন আসছে বলে ব্যবসায়ী সূত্র জানিয়েছে।

বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, রাজনৈতিক অনিশ্চয়তা এবং আন্তর্জাতিক আর্থিক যোগাযোগ বিঘ্নিত হওয়ায় এসব প্রতিষ্ঠান বিকল্প ব্যবস্থাপনার দিকে ঝুঁকছে।

বাণিজ্য বিশ্লেষকদের মতামত:
ব্যবসা-বাণিজ্য বিশ্লেষক ড. সায়েম ইকবাল বলেন, “রাজনৈতিক পরিবর্তন ব্যবসায়িক কার্যক্রমে প্রভাব ফেলতে পারে, বিশেষ করে যখন ব্যবসার সঙ্গে ব্যক্তিগত বা রাজনৈতিক প্রভাব জড়িত থাকে। তবে নতুন অংশীদার গ্রহণ একটি বাস্তবসম্মত কৌশল হতে পারে, যদি তা পেশাদারিত্বের ভিত্তিতে হয়।”

বর্তমানে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) ও আর্থিক গোয়েন্দা ইউনিট বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের লেনদেন ও সম্পদ যাচাই করছে বলে প্রশাসনিক সূত্রে জানা গেছে।

সুত্রঃ ইনকিলাব পত্রিকা