ডিসেম্বরে জাতীয় নির্বাচন? অন্তর্বর্তী সরকারের পরিকল্পনা ও রাজনৈতিক বাস্তবতা
বাংলাদেশের রাজনীতিতে আবারও উত্তাপ বাড়ছে জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিয়ে। অন্তর্বর্তী সরকার ও নির্বাচন কমিশন (ইসি) ডিসেম্বরের শেষ দিকে জাতীয় নির্বাচন আয়োজনের পরিকল্পনা করছে। তবে রাজনৈতিক দলগুলোর অবস্থান ভিন্ন। বিএনপি চায় দ্রুত নির্বাচন, জামায়াতে ইসলামী সংস্কার শেষ করে নির্বাচন চায়, আর জাতীয় নাগরিক কমিটি সরাসরি গণপরিষদ নির্বাচন দাবি করছে।
নির্বাচন নিয়ে কার অবস্থান কী?
অন্তর্বর্তী সরকার: প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস জানিয়েছেন, ডিসেম্বরের মধ্যেই নির্বাচন আয়োজনের লক্ষ্য রয়েছে। তবে সংস্কার প্রয়োজন হলে তা ২০২৬ সালের মাঝামাঝি পর্যন্ত গড়াতে পারে।
বিএনপি: দলটি দ্রুত নির্বাচন চায় এবং নির্বাচনের রূপরেখা ঘোষণাসহ কর্মসূচি চালিয়ে যাচ্ছে।
জামায়াতে ইসলামী: তারা মনে করে, আগে প্রয়োজনীয় সংস্কার করতে হবে, তারপর নির্বাচন দেওয়া উচিত।
জাতীয় নাগরিক কমিটি: তারা মনে করছে, বর্তমান সংবিধানের ভিত্তিতে সংসদ নির্বাচন করলে তা গ্রহণযোগ্য হবে না। তাদের দাবি, প্রথমে সংবিধান সংস্কার করতে হবে, তারপর জাতীয় নির্বাচন।
সংস্কার নিয়ে আলোচনা শুরু
আগামীকাল থেকে ছয়টি সংস্কার কমিশনের প্রস্তাব নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনা শুরু করছে অন্তর্বর্তী সরকার। আলোচনার মাধ্যমে একটি সমঝোতায় পৌঁছানোর চেষ্টা চলছে।
নির্বাচন কমিশনের প্রস্তুতি
নির্বাচন কমিশন ইতোমধ্যে প্রস্তুতি নিতে শুরু করেছে।
- ভোটার তালিকা হালনাগাদ
- সংসদীয় আসনের সীমানা পুনর্নির্ধারণ
- নতুন রাজনৈতিক দল ও পর্যবেক্ষক নিবন্ধন
রাজনৈতিক উত্তেজনা ও ভবিষ্যৎ চ্যালেঞ্জ
রাজনৈতিক বিশ্লেষকেরা বলছেন, নির্বাচনের আগে কিছু সংস্কার জরুরি, কিন্তু দীর্ঘ সময় সংস্কারের নামে নির্বাচন পিছিয়ে দিলে রাজনৈতিক অস্থিরতা বাড়তে পারে।
এ অবস্থায়, সরকার, রাজনৈতিক দল, নির্বাচন কমিশন এবং সাধারণ নাগরিকদের যৌথ উদ্যোগই পারে একটি গ্রহণযোগ্য নির্বাচন নিশ্চিত করতে। আগামী দিনগুলোতে আলোচনার ফলাফলের দিকেই তাকিয়ে আছে পুরো দেশ।