০২:২৪ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৬ মার্চ ২০২৫

পুলিশ ভেরিফিকেশন ছাড়া এনআইডি দিয়ে পাসপোর্ট: সহজ হচ্ছে নাগরিক সেবা

ডেস্ক নিউজ

ছবি: সংগৃহীত

ঢাকা | সোমবার, ২০২৫ | বাংলার প্রভাত ডেস্ক

এখন থেকে পুলিশ ভেরিফিকেশন ছাড়াই জাতীয় পরিচয়পত্রের (এনআইডি) তথ্যের ভিত্তিতে নাগরিকদের পাসপোর্ট প্রদান করবে সরকার। আজ সোমবার প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সুরক্ষা বিভাগের পাঠানো এ-সংক্রান্ত সারসংক্ষেপ অনুমোদন করেছেন। এর ফলে পাসপোর্ট প্রক্রিয়া আরও সহজ ও সময় সাশ্রয়ী হবে বলে আশা করা হচ্ছে।

জনভোগান্তি কমাতে যুগান্তকারী সিদ্ধান্ত

গতকাল রোববার জেলা প্রশাসক (ডিসি) সম্মেলনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান উপদেষ্টা জানান, পাসপোর্ট পাওয়া নাগরিক অধিকার এবং এটি সহজলভ্য করা উচিত। সরকার নাগরিকদের ভোগান্তি কমাতে পুলিশ ভেরিফিকেশন প্রক্রিয়া বাতিলের সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের যুক্তি অনুযায়ী, ইতিবাচক পুলিশ প্রতিবেদনের ভিত্তিতে পাসপোর্ট ইস্যু করা হলেও, পুলিশের প্রতিবেদনের দেরির কারণে অনেক সময় আবেদনকারীদের দুর্ভোগ পোহাতে হয়। নতুন ব্যবস্থায় এনআইডি বা জন্মনিবন্ধন সনদের তথ্যের ভিত্তিতে পাসপোর্ট প্রদান করা হবে, যা সময়সীমা সংক্ষিপ্ত করবে এবং প্রশাসনিক প্রক্রিয়াকে সহজ করবে।

নতুন পদ্ধতিতে কী থাকছে?

স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সূত্র জানিয়েছে, নতুন পরিপত্র অনুযায়ী:

  1. নতুন পাসপোর্টের জন্য: আবেদনকারীদের অনলাইনে যাচাই করা এনআইডির তথ্যের ভিত্তিতে পাসপোর্ট দেওয়া হবে।
  2. বিদেশে অবস্থানরত নাগরিকদের জন্য: তাদের অনলাইনে যাচাইকৃত জন্মনিবন্ধন সনদের মাধ্যমে পাসপোর্ট প্রদান করা হবে।
  3. পুনঃইস্যু আবেদন: পূর্ববর্তী পাসপোর্টের মৌলিক তথ্য পরিবর্তন হলে, নতুন পাসপোর্ট এনআইডির তথ্য অনুযায়ী ইস্যু করা যাবে।
  4. তদন্ত প্রক্রিয়া সমাপ্ত বলে গণ্য হবে: জাতীয় পরিচয়পত্র বা জন্মনিবন্ধন ডাটাবেজ যাচাই সম্পন্ন হলে, তা বাংলাদেশ পাসপোর্ট আদেশ ১৯৭৩-এর ৫(২) ধারার উদ্দেশ্য পূরণ করবে।

পরিপত্র জারি, কার্যকর হতে যাচ্ছে নতুন ব্যবস্থা

স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক কর্মকর্তা জানান, মঙ্গলবারের মধ্যে এ সংক্রান্ত পরিপত্র জারি করা হবে এবং জারির পর থেকেই নতুন ব্যবস্থা কার্যকর হবে।

সরকারের এই সিদ্ধান্ত নাগরিকদের জন্য এক বিশাল স্বস্তি আনবে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। এটি পাসপোর্ট প্রাপ্তির প্রক্রিয়াকে আরও গতিশীল করবে এবং প্রশাসনিক হয়রানি কমাবে।

Please Share This Post in Your Social Media

আপডেট: ১২:২৩:১১ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৮ ফেব্রুয়ারী ২০২৫
৩৪

পুলিশ ভেরিফিকেশন ছাড়া এনআইডি দিয়ে পাসপোর্ট: সহজ হচ্ছে নাগরিক সেবা

আপডেট: ১২:২৩:১১ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৮ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

ছবি: সংগৃহীত

ঢাকা | সোমবার, ২০২৫ | বাংলার প্রভাত ডেস্ক

এখন থেকে পুলিশ ভেরিফিকেশন ছাড়াই জাতীয় পরিচয়পত্রের (এনআইডি) তথ্যের ভিত্তিতে নাগরিকদের পাসপোর্ট প্রদান করবে সরকার। আজ সোমবার প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সুরক্ষা বিভাগের পাঠানো এ-সংক্রান্ত সারসংক্ষেপ অনুমোদন করেছেন। এর ফলে পাসপোর্ট প্রক্রিয়া আরও সহজ ও সময় সাশ্রয়ী হবে বলে আশা করা হচ্ছে।

জনভোগান্তি কমাতে যুগান্তকারী সিদ্ধান্ত

গতকাল রোববার জেলা প্রশাসক (ডিসি) সম্মেলনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান উপদেষ্টা জানান, পাসপোর্ট পাওয়া নাগরিক অধিকার এবং এটি সহজলভ্য করা উচিত। সরকার নাগরিকদের ভোগান্তি কমাতে পুলিশ ভেরিফিকেশন প্রক্রিয়া বাতিলের সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের যুক্তি অনুযায়ী, ইতিবাচক পুলিশ প্রতিবেদনের ভিত্তিতে পাসপোর্ট ইস্যু করা হলেও, পুলিশের প্রতিবেদনের দেরির কারণে অনেক সময় আবেদনকারীদের দুর্ভোগ পোহাতে হয়। নতুন ব্যবস্থায় এনআইডি বা জন্মনিবন্ধন সনদের তথ্যের ভিত্তিতে পাসপোর্ট প্রদান করা হবে, যা সময়সীমা সংক্ষিপ্ত করবে এবং প্রশাসনিক প্রক্রিয়াকে সহজ করবে।

নতুন পদ্ধতিতে কী থাকছে?

স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সূত্র জানিয়েছে, নতুন পরিপত্র অনুযায়ী:

  1. নতুন পাসপোর্টের জন্য: আবেদনকারীদের অনলাইনে যাচাই করা এনআইডির তথ্যের ভিত্তিতে পাসপোর্ট দেওয়া হবে।
  2. বিদেশে অবস্থানরত নাগরিকদের জন্য: তাদের অনলাইনে যাচাইকৃত জন্মনিবন্ধন সনদের মাধ্যমে পাসপোর্ট প্রদান করা হবে।
  3. পুনঃইস্যু আবেদন: পূর্ববর্তী পাসপোর্টের মৌলিক তথ্য পরিবর্তন হলে, নতুন পাসপোর্ট এনআইডির তথ্য অনুযায়ী ইস্যু করা যাবে।
  4. তদন্ত প্রক্রিয়া সমাপ্ত বলে গণ্য হবে: জাতীয় পরিচয়পত্র বা জন্মনিবন্ধন ডাটাবেজ যাচাই সম্পন্ন হলে, তা বাংলাদেশ পাসপোর্ট আদেশ ১৯৭৩-এর ৫(২) ধারার উদ্দেশ্য পূরণ করবে।

পরিপত্র জারি, কার্যকর হতে যাচ্ছে নতুন ব্যবস্থা

স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক কর্মকর্তা জানান, মঙ্গলবারের মধ্যে এ সংক্রান্ত পরিপত্র জারি করা হবে এবং জারির পর থেকেই নতুন ব্যবস্থা কার্যকর হবে।

সরকারের এই সিদ্ধান্ত নাগরিকদের জন্য এক বিশাল স্বস্তি আনবে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। এটি পাসপোর্ট প্রাপ্তির প্রক্রিয়াকে আরও গতিশীল করবে এবং প্রশাসনিক হয়রানি কমাবে।